চেন্নাই: চন্দ্রযান ৩-এর (Chandrayaan 3) সাফল্যে গর্বিত গোটা দেশ। প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর (Lunar South Pole) কাছে সফট ল্যান্ডিং করেছে ভারত (India)। এর আগে সফট ল্যান্ডিং (Soft Landing) করেছিল মাত্র তিনটি দেশ— আমেরিকা, রাশিয়া এবং চীন। ভারত শুধু সফট ল্যান্ডিংই করেনি, অজানা অচেনা দক্ষিণ মেরুতে গিয়ে পৌঁছেছে। এই অভাবনীয় সাফল্যে ইসরোকে (ISRO) কুর্নিশ জানিয়েছে সারা বিশ্ব। কিন্তু এই সাফল্যের প্রধান কারণ কী কী? তা নিয়েই মুখ খুললেন চন্দ্রযান ৩ প্রজেক্টের ডিরেক্টর পি বীরামুথুভেল (P Veeramuthuvel)।
মঙ্গলবার চেন্নাইয়ের এসআরএম ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে সাম্মানিক ডক্টরেট পেয়েছেন বীরামুথুভেল। সেখানেই তিনি জানান, চাঁদে সফল যাত্রা প্রযুক্তিগত সাফল্য ছাড়াও চিন্তার খোরাক দেবে ছাত্র-ছাত্রীদের। তিনি বলেন, “ব্যর্থতাকে ভয় পেলে চলবে না। ব্যর্থ হওয়া কোনও বড় বিষয় নয়। আমাদের উচিত ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে ১০০ শতাংশ দেওয়া যাতে সাফল্য অনিবার্য হয়ে পড়ে।”
আরও পড়ুন: ৩৭১ দিন মহাকাশে আটকে, অবশেষে ফিরলেন মহাকাশচারী
We dit it, India on the moon. #IndiaOnTheMoon #ProudMoment ?? pic.twitter.com/C8Lfh6zHvT
— Chandrayaan3 ?? (@Chandrayaan3_IN) August 23, 2023
চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যের নেপথ্যে তিনটি কারণ দেখিয়েছেন বীরামুথুভেল। তিনি বলেন, “আমাদের নিরলস প্রচেষ্টা, নিদ্রাহীন রাত এবং অটুট বিশ্বাস চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যের প্রধান কারণ।” তিনি আরও বলেন, “অবতরণের চূড়ান্ত পর্যায়ে যে কোনও রকম পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে আমরা অত্যন্ত সূক্ষ্ণভাবে ল্যান্ডারটিকে (Lander) ডিজাইন করেছি। চাঁদে যেহেতু জিপিএস সিস্টেম নেই তাই চন্দ্রযানে দিকনির্ণয় সেন্সর বসাতে হয়েছে।”
ডিরেক্টর আরও জানান, চিত্রদুর্গা এলাকায় চাঁদের মতো জ্বালামুখ, বোল্ডার বানানো হয়েছিল। হেলিকপ্টারে করে ল্যান্ডারটির পরীক্ষা করা হয়েছিল। এছাড়া প্রোপালশন, গাইডেন্স ও কন্ট্রোল সিস্টেম শ্রীহরিকোটায় পরীক্ষা করা হয়। ল্যান্ডারটিকে বিভিন্ন ধরনের ভূমিরূপে অবতরণ করে দেখা হয়েছিল। বীরামুথুভেল বলেছেন, “প্রাথমিক পর্যায়ে কিছুটা সমস্যা হলেও এই পরীক্ষাগুলো আমাদের প্রচুর আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে। আমরা সমস্যার সমাধান করেছি, নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করেছি এবং শেষমেশ ভারত চাঁদে পৌঁছে গিয়েছে।”
দেখুন অন্য খবর: