নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত আপাতত সামলাবেন ইডির (ED) অফিসার মুকেশ কুমার। বৃহস্পতিবার ইডি কলকাতার তিন অফিসারের নাম পাঠিয়েছে দিল্লিতে (Delhi)। সেখান থেকে কী নির্দেশ আসে, তার অপেক্ষায় রয়েছেন কলকাতার ইডি (ED) অফিসাররা। তদন্তকারী অফিসারের নাম ওই তিনজনের তালিকা থেকেই চূড়ান্ত হবে কি না, তা পরিষ্কার নয়। এমনও হতে পারে, দিল্লির কাউকে তদন্তকারী অফিসার হিসেবে নিয়োগ করা হতে পারে। তবে ইডি সূত্র্রের খবর, আপাতত নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত সমস্ত তদন্ত মুকেশ কুমারই সামাল দেবেন।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা এই মামলার তদন্তকারী অফিসার মিথিলেশ কুমারকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, এই তদন্ত করার যোগ্যতা তাঁর নেই। বিচারপতি বলেন, ওই অফিসারের সঙ্গে কথা বলে আমার মনে হয়েছে, তাঁর মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অভাব রয়েছে। ইডির আইনজীবী বলার চেষ্টা করেন, ওই অফিসার ভালো কাজ করছেন। বিচারপতি বলেন, তিনি ভালো কাজ অন্য কোথাও গিয়ে করুনয তাঁর আরও নির্দেশ, ওই অফিসারকে যেন পশ্চিমবঙ্গের কোনও মামলার তদন্তের দায়িত্ব না দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: রক্ষাকবচ মিলল না অভিযেকের, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্ত শেষের নির্দেশ
বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার ইডি এবং সিবিআইয়ের তদন্তের গতিপ্রকৃতি আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ছে। বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অমৃতা সিনহার তীব্র ভর্তসনার মুখে পড়তে হচ্ছে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। দুই বিচারপতিই এমনও অভিযোগ করেন, ইডি অভিযুক্তদের হয়ে কাজ করছে।
এই মামলাতেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের যোগাযোগের প্রসঙ্গও উঠে এসেছে। তাঁকে সমন পাঠানো এবং ওই সংস্থার ডিরেক্টরদের সম্পত্তির খতিয়ান নিয়ে ইডির রিপোর্ট নিয়েও অসন্তুষ্ট বিচারপতি সিনহা। এ ব্যাপারে তাঁর নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে মঙ্গলবার অভিষেকের আইনজীবী বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেন। বৃহস্পতিবার সেই বেঞ্চও ইডিকে একহাত নেয়। আদালতের অভিযোগ, ইডি ১৯ মাস ধরে কিছুই করেনি।
দেখুন আরও খবর:
