গাজা: গাজা (Gaza) উপত্যকার প্রায় ১১ লাখ বাসিন্দাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরে যেতে হবে বলে শুক্রবার হুমকি দিয়েছিল ইজরায়েল (Israel)। কিন্তু গাজার প্যালেস্তিনীয়রা জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা বাড়ি ছেড়ে যাবেন না। যদিও বড়সড় হামলার আশঙ্কায় অনেকে তল্পিতল্পা গুটিয়ে চলে যেতে শুরু করেছেন। এরই মধ্যে ইজরায়েল গাজায় সমানে বোমা বর্ষণ করে চলেছে।
সূ্ত্রের খবর, শুক্রবার রাতভর গাজার আবাসিক এলাকায় ইজরায়েল বোমা ও মিসাইল হামলা চালিয়েছে। উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে হামলা চালায় ইজরায়েলি সেনা। তাতে অন্তত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গতকালই হিউম্যান রাইটস ওয়াচ অভিযোগ করে, ইজরায়েল গাজা উপত্যকা এবং লেবাননে সাদা ফসফরাস বোমা ফেলেছে। তা নিয়ে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জ বলেছে, ইজরায়েল যা করছে, তা মানবাধিকার লঙ্ঘনের সামিল।
আরও পড়ুন: ইজরায়েল হামাস যুদ্ধে মৃত্যু সাংবাদিকের
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের পর ইজরায়েল সফরে গিয়েছেন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। তিনি ইজরায়েলের সামরিক অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ইতিমধ্যে গাজার স্থলভূমিতে অভিযান শুরু করে দিয়েছে ইজরায়েলের সেনা বাহিনী। সেখান থেকে বহু পণবন্দির দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ইজরায়েলের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের দাবি, ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স গাজায় হামাসের একটি ঘাঁটি গুঁডিয়ে দিয়েছে। আইডিএফ জানিয়েছে, এখনও হামাসের হাতে ১৫০ জন পণবন্দি রয়েছে। তাদের উদ্ধার না করা পর্যন্ত অভিযান চলবে। আন্তর্জাতিক মহল বলছে, গত শনিবার হামাসের সঙ্গে যুদ্ধের শুরুতে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যা বলেছিলেন, সেই পথেই হাঁটছে আইডিএফ। নেতানিয়াহু হুমকি দিয়েছিলেন, পশ্চিম এশিয়ার মানচিত্র বদলে দেব আমরা। আমরা পুরোপুরি যুদ্ধের মধ্যে চলে গিয়েছি।
আরও অন্য খবর দেখুন