কলকাতা: কলকাতায় প্রতিদিন বাড়ছে পুজোমুখী জনস্রোত। যানজট সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে পুলিশকে। প্রতিবারের মতো নাওয়া খাওয়া ভুলে ট্র্যাফিক পুলিশ (Traffic Police) যান সামলাতে ব্যস্ত। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার এক ট্রাফিক পুলিশ কর্মী কর্তব্যরত অবস্থায় জখম (Injured) হলেন। আকাশবাণীর সামনে বাসের ধাক্কায় আহত হন ওই ট্রাফিক সার্জেন্ট। কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) হেড কোয়ার্টার গার্ডের ট্র্যাফিক সার্জেন্ট তিনি। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহত ওই সার্জেন্টের নাম চন্দন ধান। কলকাতা পুলিশ সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, এবার বাড়তি ট্র্যাফিক পুলিশ নামাতে হয়েছে কলকাতায়। শপিং হাবগুলিতে ট্র্যাফিক পুলিশ (Kolkata Traffic Police) মোতায়েন বহুগুণ বেড়েছে। দুর্গাপুজোর সময় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ যানবাহন চলাচল করা। পথচারীরা মেন রোড দিয়ে হাঁটা শুরু করলে, রাস্তা পার হলে যানবাহনের গড় গতি কমে যায়। তাই পথচারীরা যাতে ব্যারিকেডের মধ্যে থাকে তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছেন ট্র্যাফিক পুলিশ। পুজোতে যানবাহন থেকে ভিড়কে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য লালবাজারের তরফে পুলিশকে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশে বলা হয়েছে, পুজোর ডিউটির সময় খুব প্রয়োজন ছাড়া মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন না পুলিশকর্মীরা। এবার নিরাপত্তার দায়িত্বে অন্তত দশ হাজার পুলিশ। সঙ্গে অন্তত দশ হাজার পুজো ভলান্টিয়ার । এ ছাড়া রয়েছেন হোমগার্ড ও সিভিক ভলান্টিয়াররাও। প্রত্যেকটি বড় পুজোর দায়িত্বে থাকছেন একজন করে ডিসি পদমর্যাদার আধিকারিক। চতুর্থী থেকে নবমী রাস্তা ও মণ্ডপে পুলিশ মোতায়েন। রাত বারোটায় মোতায়েন হচ্ছে পুলিশের দ্বিতীয় ব্যাচ।
আরও পড়ুন: হামাসের কোন রণকৌশলে ভয় পাচ্ছে ইজরায়েল?
এছাড়াও পুজোয় শহরের রাস্তায় পুলিশ পিকেট। নিরাপত্তা ও নজরদারির জন্য রাস্তায় দুবেলা থাকছে আটটি করে ১৬টি হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড। ৩০টি পুলিশ কন্ট্রোলরুম মোবাইল ও আরও পিসিআর গাড়ি টহল দিচ্ছে। ১৩টি কুইক রেসপন্স টিম কমব্যাট ফোর্স নিয়ে থাকছে রাস্তায়। শহরের ৪৫টি ওয়াচ টাওয়ারে নাইট বাইনোকুলার নিয়ে নজরদারি রাখছেন থানা ও গোয়েন্দা দফতরের দু’জন করে পুলিশকর্মী। ২৭টি মেট্রো স্টেশনে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
আরও খবর দেখুন