নাগপুর ও নয়াদিল্লি: উৎসবের রং ফিকে হতেই ভোটযুদ্ধের শঙ্খ বেজে উঠল। দিল্লির দ্বারকায় দশেরা (Vijaya Dashmi) উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Prime Minister Narendra Modi) মঙ্গলবার বলেন, অযোধ্যায় রামমন্দির (Ram Temple in Ayodhya) প্রতিষ্ঠা ধৈর্যের জয়। দীর্ঘ প্রতীক্ষার শেষে আমরা সেই ধৈর্যের পরীক্ষায় বিজয় হাসিল করতে চলেছি।
প্রসঙ্গত, ওই একইদিনে দিল্লি থেকে কয়েক হাজার কিমি দূরে মহারাষ্ট্রের নাগপুরে বার্ষিক বিজয়া দশমী উৎসবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রধান মোহন ভাগবত (RSS chief Mohan Bhagwat) ঘোষণা করে দিলেন, অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন হবে ২২ জানুয়ারি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হামুনের তাণ্ডব, কেমন থাকবে বাংলার আকাশ?
অন্যদিকে, মঙ্গলবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দিল্লির দ্বারকায় ডিডিএ গ্রাউন্ডে দশেরা উৎযাপনে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে তিনিও রাবণ দহন (Ravana Dahan) অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক প্রচার সেরে নেন। মোদি তাঁর ভাষণই শুরু করেন, সিয়াবর রামচন্দ্র কি জয় ধ্বনি দিয়ে। বিজেপি বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের নাম না করে মোদি বলেন, রাবণ দহন শুধুমাত্র খড়ের পুতুল পোড়ানো নয়। মা ভারতীকে যারা জাতিবাদ এবং ধর্মের ভিত্তিতে ভেঙে টুকরো করে দিতে চায়, সেই শক্তিকেও পরাস্ত করার প্রতীক। জাতিবাদ, ধর্ম বিভেদ এবং দেশের সম্প্রীতিকে রক্ষা করার ডাক দেন প্রধানমন্ত্রী।
মোদি আরও বলেন, দশেরা হল অশুভের পরাজয় ও শুভশক্তির জয়ের প্রতীক। তিনি আরও বলেন, আমরা শ্রীরামচন্দ্রের কাছ থেকে মর্যাদা কাকে বলে শিখেছি। কেমন করে দেশের সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে হয় জানি।
মঙ্গলবার দশেরার অনুষ্ঠানে ভাগবত বলেন, ২২ জানুয়ারি ভগবান রামের প্রতিষ্ঠা হবে অযোধ্যার মন্দিরে। সেদিন দেশজুড়ে সব মন্দিরে রামলালার পূজন, ভজন-কীর্তন অনুষ্ঠিত হবে। শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র অছি পরিষদ রামলালার মূর্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ জানিয়ে রেখেছে।
মন্দির কমিটি ঠিক করেছে ১৪ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তির পর থেকে গর্ভগৃহে রামলালার মূর্তি প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করবে। এরপর ১০ দিন ধরে সেখানে পুজো, হোমযজ্ঞের মাধ্যমে রামলালা বিগ্রহে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হবে। নাগপুরে সঙ্ঘের বিজয়া দশমীর অনুষ্ঠানে ভাগবত আরও বলেন, নির্বাচন আসছে। দেশের সব নাগরিকের উচিত ভোট দেওয়া। বলেন, ঠান্ডা মাথায় ভাবুন, কে ভালো কাজ করেছে। আর কে ভালো! ভারতের মানুষের সব ধরনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। ভোট তাকেই দিন যারা সেরা।
আরএসএস প্রধানের কথায়, ভোট দেওয়ার সময় দেশের সংহতি, ঐক্যের কথা মাথায় রাখবেন। এ প্রসঙ্গে মার্কসবাদী সংস্কৃতির প্রভাব এবং প্রগতিশীল সমাজকে বেঁধেন সরসঙ্ঘচালক। তাঁর অভিযোগ, ওরা মিডিয়াকে প্রভাবিত করে। দেশের শিক্ষা ও সংস্কৃতিকে নষ্ট করতে ওরা এসব কাজ করে।
দেখুন অন্য খবর