Placeholder canvas

Placeholder canvas
HomeScrollবাংলাদেশে হামুনের তাণ্ডব, কেমন থাকবে বাংলার আকাশ?

বাংলাদেশে হামুনের তাণ্ডব, কেমন থাকবে বাংলার আকাশ?

বিকেলের দিকে ছিটেফোঁটা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে

Follow Us :

কলকাতা: আজ বিজয়া দশমী। শেষ হয়েছে বাঙালির শারদ উৎসব। আজ থেকেই সকলের জীবনে ছন্দে ফেরার দিন। তার আগে জেনে নেওয়া দরকার আজ কেমন থাকবে বাংলার আবহাওয়া (Weather)? কি বলছে হাওয়া অফিস? ইতিমধ্যে, মধ্যরাতে বাংলাদেশে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় হামুন (Cyclone Hamoon)। চট্টগ্রামের কাছে ল্যান্ডফল (Landfall) হয় ঘূর্ণিঝড়ের। তবে ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাব পড়বে না রাজ্যে। আপাতত বৃষ্টির কোনও সতর্কতা নেই। একাদশীতে রাজ্যজুড়ে পরিষ্কারই থাকবে আকাশ। তবে, বিকেলের দিকে ছিটেফোঁটা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে।

আজ কলকাতার আকাশ মূলত মেঘলা আকাশ থাকবে। বিকেলের দিকে ছিটেফোঁটা বৃষ্টির সম্ভাবনা। রাতের দিকে সামান্য কমতে পারে তাপমাত্রা। স্বাভাবিকের তুলনায় ২ থেকে ৩ ডিগ্রি কমতে পারে তাপমাত্রা। ফিরবে হেমন্তের ছোঁয়া। বুধবার কলকাতার তাপমাত্রা থাকবে ৩৩ ডিগ্রি ও ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। এছাড়াও বাতাসে আজ জলীয় বাষ্পের পরিমান থাকবে ৯৩ শতাংশ ও ৮৮ শতাংশের মাঝামাঝি।

আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় হামুন, কী বলছে হাওয়া অফিস, জানুন

হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতেও মেঘলা আকাশ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দিনের মাঝে দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টিও হতে পারে। পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগানা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলি জেলার কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। পাশাপাশি, ঝোড়ো বাতাস বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে এইসব উপকূলীয় জেলাগুলিতে। তবে অন্যান্য জেলায় আজ মেঘলা আকাশ থাকলেও সেভাবে বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়নি।

অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে আগামী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টির তেমন সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। আজ খুব ক্ষীণভাবে নিম্নচাপের প্রভাব দেখা যাবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে। আজ ভারী বর্ষণের সতর্কতা না থাকলেও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি হতে পারে। আজ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দার্জিলিং ও কালিম্পং। অন্যান্য জেলাগুলিতে আজ মূলত শুস্ক আবহাওয়া থাকতে পারে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাত ১টা ১৫ মিনিট নাগাদ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূলে ল্যান্ডফল করে ঘূর্ণিঝড় হামুন। সন্ধ্যার দিকে যখন ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলে প্রবেশ করছিল, সেই সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার। রাত ৮টা থেকে ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করে। ঝড়ের সর্বোচ্চ গতি ছিল ঘণ্টায় ১০৪ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজারে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হয়। উপকূলে আছড়ে পড়ার পরই ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে শক্তি খোয়াতে শুরু করে। বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়টি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। যার জেরে আজ দিনভর বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশে।

দেখুন আরও অন্য খবর:

RELATED ARTICLES

Most Popular