বহরমপুর: তৃণমূলে নবীন-প্রবীণ লড়াইয়ের স্ক্রিপ্ট বিজেপি দফতরে তৈরি হচ্ছে বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। মঙ্গলবার বহরমপুরে তিনি বলেন, যেদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে ইডি নয় ঘণ্টা জেরা করেছিল, তার পর থেকে তিনি (খোকাবাবু) পাল্টি খেয়েছেন। সেদিন থেকে খোকাবাবু কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন। আগামিদিনে খোকাবাবু যদি বিজেপির প্রজেক্টেড মুখ্যমন্ত্রীর মুখ হন, তাহলে অবাক হবেন না। আমি এটা আগাম বলে দিচ্ছি।
এদিন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকেও এক হাত নেন। সোমবার ফিরহাদ বলেছিলেন, আমি যদি এক পয়সারও দুর্নীতি করে থাকি, তবে রাজনীতি থেকে ইস্তফা দেব। যেদিন আমি দুর্নীতি করব, সেদিন আমি মায়ের মাংস খাব। এই দুটো সমার্থক। দলের প্রতিষ্ঠা দিবসের সভায় পুরমন্ত্রী সোমবার আরও বলেন, দলের মধ্যে কেউ কেউ দুর্নীতি করেছেন। তাঁরা এখনও দলে রয়ে গিয়েছেন। এই দুর্নীতি পাপ। সেই প্রসঙ্গে অধীর বলেন, বাংলায় তৃণমূল থাকলে শুধু লুঠ হবে। দুর্নীতি হবে আর খাও। আবার আমাদের জ্ঞান শুনতে হবে। এক পয়সার দুর্নীতি করলে নাকি মায়ের মাংস খাওয়া হবে। আমরা তাঁর বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতির কথা বলছি না। আমরা বলছি, তোমার ১৭ টা হোটেল আছে কি না, বল।
আরও পড়ুন: কালীঘাটের কাকু কেন এসএসকেএমে, ফের জনস্বার্থ মামলা
এর আগেও অধীর অভিষেকের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেছিলেন। এদিন তিনি বলেন, যেদিন থেকে অভিষেক পাল্টি খেয়েছেন, সেদিন থেকে ইডি এবং সিবিআই অভিষেক সম্পর্কে একেবারে চুপ। চুপ মানে একেবারে চুপ। তারা হাত গুটিয়ে বসে আছে।
ফিরহাদের বক্তব্য নিয়ে সোমবার মুখ খোলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক এবং অন্যতম মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ববিদা আজকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলছেন। আমি যখন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলাম, তখন এই ববিদা-ই বলেছিলেন, কুণাল মন্ত্রিসভার কেউ নয়। তাছাড়া যা হয়েছে, তা মন্ত্রিসভার যৌথ সিদ্ধান্ত। ববিদা আজকে দুর্নীতির কথা মানছেন। তাহলে তখন আটকাননি কেন, তখন কেন চুপ থেকেছিলেন।