মণিপুর: ইন্ডিয়া জোটের শরিকদের ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় অংশ নেওয়ার জন্য আবেদন জানালেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। শনিবার দিল্লিতে জোটের ভার্চুয়াল বৈঠক বসে। সেই বৈঠকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব উপস্থিত ছিলেন না। বৈঠকের খবর আগে না জানানোয় ক্ষোভে তৃণমূলের কেউ তাতে যোগ দেননি। সূত্রের খবর, ভার্চুয়াল বৈঠকেই কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে এবং কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী ইন্ডিয়া জোটের শরিকদের ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় তাদের সুবিধামতো শামিল হতে আহ্বান জানান। তবে কোন কোন শরিক কংগ্রেসের এই যাত্রায় অংশ নেবে, তা এখনও পরিষ্কার নয়। বৈঠকের পর কংগ্রেস সভাপতি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, আমি এবং রাহুলজি ইন্ডিয়া জোটের সব শরিককে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। এর মাধ্যমেই সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ইস্যুগুলিকে সামনে রেখে প্রতিবাদ করার সুযোগ নেওয়া উচিত।
আগামিকাল, রবিবার থেকে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে মণিপুর থেকে কংগ্রেসের ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার সূচনা হচ্ছে। এই পর্যায়ে মণিপুর থেকে মুম্বই পর্যন্ত প্রায় ৬২০০ কিলোমিটার পথ পরিক্রমা করবে ওই যাত্রা। তবে এবার শুধু পদযাত্রা নয়, বাসেও অংশগ্রহণকারীরা যাতায়াত করবে। এই ন্যায় যাত্রা সাতদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গের পাঁচটি জেলা অতিক্রম করবে। প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব দলের শীর্ষ নেতাদের অনুরোধ করেছেন, এই যাত্রা যেন কলকাতাকে ছুঁয়ে যায়। সে ব্যাপারে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। গত বছরের ভারত জোড়ো যাত্রায় সমমনোভাবাপন্ন দলগুলি যোগ দেয়নি। কোনও কোনও রাজ্যে বিক্ষিপ্ত ভাবে দুএকটি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে। তবে যাত্রার সমাপ্তিতে জম্মুতে সিপিআই, ন্যাশনাল কনফারেন্সের মতো দলগুলি হাজির ছিল।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, আগামী ২৬ জানুয়ারি কোচবিহারের বক্সিরহাট হয়ে এ রাজ্যে ঢোকার কথা ন্যায় যাত্রার। বক্সিরহাট থেকে আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটায় পৌঁছবে যাত্রা। সেখানে রাত্রিবাস করতে পারেন রাহুল গান্ধী। শনিবার উত্তরবঙ্গের এই কর্মসূচির কথা জানান এআইসিসি সদস্যা পিয়া রায়চৌধুরী।
আরও পড়ুন: মালদ্বীপকে ভারত কীভাবে বাঁচিয়েছিল? জানুন সেই ইতিহাস
এদিন কলকাতায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী জানান, ন্যায় যাত্রা ২৫ জানুয়ারি রাজ্যে ঢুকছে। কোচবিহার থেকে শিলিগুড়ি হয়ে উত্তর দিনাজপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদে আসবে ওই যাত্রা।
দেখুন আরও খবর: