Wednesday, June 18, 2025
HomeBig newsধন্দ কাটাতে সূচনার ডিএনএ পরীক্ষা হবে

ধন্দ কাটাতে সূচনার ডিএনএ পরীক্ষা হবে

পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ বাড়ল বেঙ্গালুরু সিইও-র

Follow Us :

গোয়া: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশেষজ্ঞ তথা এআই স্টার্টআপ সিইও সূচনা শেঠকে আরও ৫ দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিল গোয়ার একটি আদালত। চার বছরের ছেলেকে খুন ও দেহ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগে তাঁকে গত ৮ জানুয়ারি গ্রেফতার করে পুলিশ।

সূচনা পুলিশের সঙ্গে তদন্তে সহযোগিতা করছেন না বলে আদালতে জানান সরকারি কৌঁসুলি। এছাড়াও তাঁর কাছ থেকে খুনের বিষয়ে আরও অনেক কিছু জানার আছে বলে পুলিশের দাবি। তাই সূচনার হেফাজতের মেয়াদ বৃদ্ধি করে আদালত। আগামী ১৯ জানুয়ারি সূচনাকে ফের আদালতে হাজির করা হবে।

আরও পড়ুন: রাহুলের যাত্রাপথের দুধারে জনতার ভিড়

সোমবার গোয়ার শিশু আদালতে তোলা হয় সূচনা শেঠকে। এর আগে আদালত ৬ দিনের পুলিশ হেফাজত দিয়েছিল। কালানগুট থানা এদিনও ফের তাঁর হেফাজতের দাবি জানায়। সূচনার স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অনেক তথ্য ইতিমধ্যেই পুলিশ সংগ্রহ করেছে। কিন্তু ডিএনএ পরীক্ষা বাকি রয়েছে। তাই তাঁকে হেফাজতে চায় পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, পালানোর সময় ট্রলি ব্যাগে প্রথমে ছিল চার বছরের ছেলের দেহ। তার উপরে জামাকাপড়, তারও উপরে ছেলের সমস্ত খেলনা। যাতে প্রথম দর্শনে ব্যাগের ঢাকনা খুললে বোঝা না যায়। পুলিশ জানিয়েছে, উপরচোখে দৃষ্টিবিভ্রম ঘটাতে এভাবেই গোপনে মৃত ছেলেকে নিয়ে গোয়ার হোটেল ছেড়ে মধ্যরাতে বেঙ্গালুরু পালাচ্ছিলেন এআই কোম্পানির মালকিন সূচনা শেঠ।

বেঙ্গালুরুর স্টার্টআপ সিইও সূচনা গত ১২ অক্টোবর তাঁর শেষ ইনস্টাগ্রাম পোস্টে হ্যাশট্যাগ দিয়ে লিখেছিলেন, ‘হোয়াটউইলহ্যাপেন’। অর্থাৎ এরপর কী হবে? উপরের ছবিটি ছিল একটি অ্যাকুরিয়ামের সামনে ছেলে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সেই পোস্টটি এখন বন্যার মতো ছড়িয়ে পড়েছে। দুজন লিখেছেন, তাঁরা সূচনার প্রতিবেশী। তাঁরা দেখেছেন, ৩৯ বছর বয়সি এই মহিলা ছেলেকে কী অসম্ভব ভালোবাসতেন। সব সময় ছেলেকে আগলে আগলে রাখতেন। ছেলের শ্বাসজনিত একটি সমস্যা ছিল বলে সব সময় তা নিয়ে চিন্তায় থাকতেন।

আর একজন লিখেছেন, বাচ্চাটিও ছিল খুব ভদ্র-মার্জিত ও মিষ্টি ছেলে। সূচনাও ছেলেকে যত্ন-ভালোবাসায় মুড়ে রেখেছিলেন। দুজনেই খুব মিষ্টি স্বভাবের বলে তাঁর দাবি। আর একজন নিজেকে সূচনার প্রতিবেশী বলে দাবি করে লিখেছেন, মাত্র তিনমাস ওর কাছাকাছি ছিলাম। আমি বিশ্বাস করতেই পারছি না যে, সূচনা কখনও ওর ছেলেকে একটা চড়ও মারতে পারে।

তাঁর কাছে এই ঘটনা উপন্যাসের গল্পের থেকেও অবাক করার মতো। তাঁরা দুজনেই বাঙালি বলে মাঝেমধ্যে রান্না খাবার বিনিময় করতেন। তাঁর কথাতেই রয়েছে, সূচনা বইয়ের পোকা ছিলেন এবং বিভিন্ন ধরনের বইয়ের বিরাট সংগ্রহ ছিল।

অন্য খবর দেখুন

RELATED ARTICLES

Most Popular