ঝালদা: বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না পুরুলিয়া জেলার ঝালদা পুরসভাকে (Jhalda Municipality) ঘিরে। আইনি জটিলতা থেকে শুরু করে রাজনৈতিক টানাপড়েনের মধ্যে শহরের মানুষ পুর পরিষেবা থেকে বঞ্চিত। নির্দল থেকে তৃণমূলে আসা শীলা চট্টোপাধ্যায় (Sheila Chatterjee) চেয়ারপার্সন হিসেবে কাজ চালাচ্ছিলেন। কিন্তু নির্বাচিত তৃণমূল কাউন্সিলর শীলাকে মেনে নিতে পারছিলেন না। তাই দলীয় টিকিটে নির্বাচিত পাঁচ তৃণমূল এবং দুই কংগ্রেস কাউন্সিলর শীলার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন। সেই প্রস্তাব নিয়ে বুধবার তলবি সভায় ভোটাভুটি হয় দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশ অমান্য করে। সভা শেষে ঝালদা পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং বর্তমানের তৃণমূল কাউন্সিলর সুরেশ আগরওয়াল বলেন, ৭-০ ভোটে চেয়ারপার্সনকে আজ অপসারণ করা হল। আজ থেকে তিনি আর চেয়ারপার্সন নন।
এদিকে মঙ্গলবার রাতেই তৃণমূলের জেলা সভাপতি দলীয় কাউন্সিলরদের উপর হুইপ জারি করে জানান, শীলার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা যাবে না। আবার শীলা বুধবারের তলবি সভা বাতিল করে জানিয়েছিলেন, সভা হবে ২৭ জানুয়ারি। কিন্তু বুধবার দলীয় নেতৃত্বের হুইপ অগ্রাহ্য করেই তৃণমূলের পাঁচ কাউন্সিলর এদিন পুরসভায় হাজির হন। উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের দুই কাউন্সিলরও। তাঁরাই ভোটাভুটিতে শীলাকে হারিয়ে দেন বলে দাবি করা হয়। এদিন তলবি সভা ঘিরে ব্যাপক পুলিশি নিরাপত্তার ব্যূবস্থা ছিল। আইনি মহল মনে করছে, বিষয়টি ফের আদালত পর্যন্ত গড়াবে। বুধবার শীলা কিংবা জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
আরও পড়ুন: আন্দোলনকারীরা চাকরিপ্রাপকদের থেকেও বেশি গরিব, পর্যবেক্ষণ আদালতের
গত বছর ১২ আসন বিশিষ্ট ঝালদা পুরসভায় তৃণমূলের পাঁচ, কংগ্রেসের পাঁচ এবং দুজন নির্দল প্রার্থী জয়ী হন। কয়েকবার দল বদলের পর বর্তমানে তৃণমূলের কাউন্সিলর সংখ্যা বেড়ে হয় দশ। কংগ্রেসের কাউন্সিলর ছিল দুজন। শীলা নির্দল থেকে তৃণমূলে এসে চেয়ারপার্সন হন। তা নিয়েও মামলা মোকদ্দমা হয়েছে। এদিন শীলা অপসারিত হলেও ঝালদা পুরসভার জট কেটে গেল, এমন মনে করার কোনও কারণ নেই। জল এখন কোন দিকে গড়ায়, শহরবাসীর নজর থাকবে সেদিকে। তবে এই টানাপড়েনে পুর পরিষেবা লাটে উঠেছে বলে নাগরিকদের অভিযোগ।
আরও অন্য খবর দেখুন
