কাটোয়া: প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়াদের দিয়ে মিড ডে মিলের বাজার। প্রধান শিক্ষককে প্রশ্ন করতেই উত্তর, হিসাব শেখানোর জন্যই তাদেরকে বাজারে পাঠানো হয়। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে কাটোয়া ২ নম্বর ব্লকের শ্রীবাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের নতুনগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। অভিভাবকদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক প্রত্যেকদিনই স্কুলে আসেন দেরিতে। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
এই পঞ্চায়েতের নতুন গ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণি থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা শেখানো হয়। স্কুলের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা সব মিলিয়ে প্রায় ৪০। প্রত্যেকদিন স্কুলে মিড ডে মিলের রান্না হয়। প্রতিদিনের সব্জি ও মুদিখানা দ্রব্য কিনতে পাঠানো হয় স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের। এমনই ছবি ধরা পড়ায় প্রধান শিক্ষকের সাফাই, ছাত্র-ছাত্রীদের হিসাব শেখানোর জন্যই প্রত্যেকদিনই মিড ডে মিলের বাজার করতে পাঠানো হয় তাদের।
আরও পড়ুন: মদ্যপ অবস্থায় রমণীর সঙ্গে নাচ তৃণমূলের INTTUC-র জেলা সভাপতির
এদিন স্কুলে শিক্ষকের দেরিতে আসায় ক্ষুব্ধ হন অভিভাবকরা। তাঁদের অভিযোগ, প্রায় দিনই স্কুলের প্রধান শিক্ষক দেরিতে আসেন। স্কুল ঘরের চাবি প্রধান শিক্ষকের কাছে থাকায় বিলম্ব হয় স্কুল খুলতে। গতকাল এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় স্কুল চত্বরে।
এই ঘটনা জানাজানি হতেই অভিভাবকরা স্কুল চত্বরে এসে প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চায়, কেন তাদের বাজারে পাঠানো হয়। খবর চাউর হতেই ঘটনাস্থলে আসেন ২ নম্বর ব্লকের শিক্ষার কর্ম্যাধক্ষ সুমিত মুখোপাধ্যায়।
প্রশ্ন উঠছে, স্কুলমুখী করতেই যেখানে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে মিড ডে মিলের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, তাদেরকেই স্কুল থেকে যেতে হচ্ছে বাজারে।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর:
