ঝাড়গ্রাম: শাহজাহানে নীরব রইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে প্রশাসনিক সভা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। পরে পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানও হয়। সভায় শাহজাহান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কিছু বলেন কি না, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলের কৌতূহল ছিল। কিন্তু সেখানে তাঁর মুখে সন্দেশখালি নিয়ে একটি শব্দও শোনা যায়নি।
প্রসঙ্গত, এদিনই ভোরে রাজ্য পুলিশ ৫৬দিন ধরে নিখোঁজ তৃণমূলের দাপুটে নেতা এবং জেলা পরিষদ সদস্য শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করে। বিরোধীরা বরাবর অভিযোগ করে এসেছে, শাহজাহান শাসকদল এবং পুলিশের আশ্রয়ে রয়েছেন। এক ধাপ এগিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এটা গ্রেফতারি নয়। মিউচুয়াল বোঝাপড়া।
আরও পড়ুন: কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট (পর্ব-১৩)
বুধবার বাঁকুড়ার খাতড়ায় প্রশাসনিক সভায় সন্দেশখালির নাম না করে তিনি বলেন, সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামের সঙ্গে কারও তুলনা চলে না। সব জায়গাকে এক করে দিয়ে দাঙ্গা করবেন না বিরোধীরা। তাঁর আরও মন্তব্য ছিল, আমি জ্ঞানত কোনও অন্যায়কে প্রশ্রয় দিই না। অজ্ঞানত ভুল হয়েছে জানতে পারলে ভুল শোধরাতে সাহায্য করি।
তিনদিনের জঙ্গলমহল সফর শেষ করে এদিন বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী কলকাতায় ফেরেন আকাশপথে। ডুমুরজলা হেলিপ্যাড থেকে সরাসরি তিনি নবান্নে চলে যান।
মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী পুরুলিয়ায়, বুধবার বাঁকুড়ায় এবং এদিন ঝাড়গ্রামে সভা করলেন। লোকসভা ভোটের মুখে তাঁর এই সফর রাজনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিন সভাতেই তাঁর লক্ষ্য ছিল আদিবাসী ভোট। কুড়মি এবং আদিবাসীদের মধ্যে বহুদিনের বিরোধ। জঙ্গলমহলে তাকে ঘিরে অসন্তোষও রয়েছে। গত বছর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলে নবজোয়ার যাত্রা চলাকালীন ঝাড়গ্রামের জঙ্গলে তাঁর কনভয় কুড়মিদের হামলার মুখে পড়ে। মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ির চালক জখম হন। বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আদিবাসী এবং কুড়মিদের মধ্যে আমি ঝগড়া লাগাতে চাই না। আদিবাসীদের জাতিগত শংসাপত্র নিয়ে যাতে কোনও ঝামেলা না হয়, সেটা আমি দেখব। সারি ও সারনা ধর্মের স্বীকৃতির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি দেব। এই স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষমতা আমার হাতে নেই। এদিন ঝাড়গ্রামের সভায় মমতা বলেন, এই ঝাড়গ্রামে ১১-১২ বছর আগে রোজ রক্ত ঝরত। কেউ ভয়ে আসতে চাইত না। আমি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বেলপাহাড়ি, লোধাশুলি প্রভৃতি গ্রামে যেতাম। এখন এখানে উন্নয়ন যজ্ঞ চলছে।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: