লন্ডন: অঘটন হল না, বরুসিয়া ডর্টমুন্ডকে ২-০ হারিয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতল সেই রিয়াল মাদ্রিদ। এটা নিয়ে ১৫ নম্বর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফি গেল মাদ্রিদের ক্লাবে। এই টুর্নামেন্টের সাফল্যের ক্ষেত্রে বাকিদের বহু যোজন পিছনে ফেলে দিয়েছে তারা। এ বছর ফাইনালের আসর বসেছিল লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে। ১৪ বার ট্রফি জিতলেও এ মাঠে কখনও সাফল্য আসেনি। সেই সামান্য অপূর্ণতাটুকুও থাকতে দিলেন না কার্লো আন্সেলোত্তির ছেলেরা।
টিপিক্যাল রিয়াল মাদ্রিদ স্টাইলেই জার্মান ক্লাবকে বশ মানালেন জুড বেলিংহ্যাম, টোনি ক্রুসরা। প্রথম দিকে ম্যাচের নাগাল পাচ্ছিলেন না তাঁরা। মুহুর্মুহু আক্রমণ করছিল ডর্টমুন্ড। এ সময়ে একাধিক গোলও হজম করতে পারত রিয়াল। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ভাগ্য তাদের সঙ্গে থাকে প্রায় সবসময়। তাই প্রথমার্ধ গোলশূন্য অবস্থায় শেষ হয়। দ্বিতীয়ার্ধে বদলে গেল ছবি।
আরও পড়ুন: কোন সমস্যায় অবসর নিলেন দীনেশ কার্তিক?
Iconic ? #UCLfinal pic.twitter.com/XpMCtsRx9V
— UEFA Champions League (@ChampionsLeague) June 1, 2024
এবার খেলা নিয়ন্ত্রণ করা শুরু করলেন বেলিংহ্যামরা। আক্রমণেও চাপ বাড়ল। গোলের মুখ খুলল ৭৪ মিনিটে। ক্রুসের কর্নার থেকে দারুণ হেডে গোল করলেন অভিজ্ঞ রাইট ব্যাক ড্যানি কার্ভাহাল। এতক্ষণ সমানে সমানে লড়াই করা ডর্টমুন্ডের খেলোয়াড়েরা এত দেরিতে গোল খেয়ে চাপে পড়ে গেলেন। চাপের ফসল হিসেবেই নিজেদের বক্সের কাছে মিস পাস করেন ইয়ান মাটসেন। সেই বল ধরে নেন বেলিংহ্যাম এবং ফাঁকায় দাঁড়ানো ভিনিসিয়াস জুনিয়রকে বাড়িয়ে দেন। বাঁ পায়ের শটে ২-০ করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী ভালো লড়াই করেছে ডর্টমুন্ড। তবে এ ম্যাচ তারাও জিততে পারত, যদি আক্রমণ ভাগের খেলোয়াড়েরা গোল করতে পারতেন। একাধিকবার রিয়ালের ডিফেন্স ভেঙে গোল করার সু্যোগ তৈরি করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ফিনিশিংটাই করে উঠতে পারলেন না। যোগ্য দল হিসেবেই ফের ইউরোপ সেরার তকমা পেল রিয়াল মাদ্রিদ।