বসিরহাট: রাজ্যজুড়ে এক নতুন গিমিকের সৃষ্টি হয়েছে ছেলে ধরা! ছেলে ধরা সন্দেহ করে আটকে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে। গত শুক্রবার বসিরহাটের (Basirhat) মাটিয়া থানার (Matia PS) রাজেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পশুপতি মোড় এলাকার লোকজন এক যুবককে ছেলেধরা বলে সন্দেহ করে। কিন্তু তাকে আটকে রেখে কোনওরকম মারধর না দিয়েই উপযুক্ত প্রমাণ পত্র সহ তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। যা এক অনন্য দৃষ্টান্ত তৈরি করেছিল। কিন্তু তার ছত্রিশ ঘন্টা পর শনিবার গভীর রাতে এক প্রাপ্তবয়স্ক যুবককে ছেলেধরা সন্দেহ করে এলাকাবাসীরা। ঘটনাটি সেই একই মাটিয়া থানা এলাকায়। তবে এবার অন্যপ্রান্তে। মাটিয়া থানার ধান্যকুড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কমলাপুর গ্রামে। সেখানে গ্রামের কিছু মানুষ এক যুবককে ছেলে ধরা বলে সন্দেহ করে। তাকে দীর্ঘক্ষণ আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয়। এমনকি তাকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মাটিয়া থানার পুলিশ। তারা প্রথমে ওই যুবককে উদ্ধার করে। যদিও তার কাছ থেকে বাচ্চা বা শিশু চুরির কোনরকম প্রমাণপত্র মেলেনি। কিন্তু এই ঘটনায় গুজব রটানোর জন্য পাঁচজন গ্রামবাসীকে গ্রেফতার করলো মাটিয়া থানার পুলিশ।
ধৃতদের রবিবার বসিরহাট মহকুমার আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের তিন দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। দিকে দিকে যেভাবে ছেলেধরার নাম করে গুজব রটিয়ে যুবক-যুবতীকে মারধর করা হচ্ছে তা নিয়ে রীতিমতো চাপ বেড়েছে প্রশাসনের উপর। মাটিয়া থানার পুলিশ এই গুজব রটানোর ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করায় তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসবে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
আরও পড়ুন: ভোটের পরে প্রথম মন কী বাতে মোদির মুখে গণতন্ত্র
আরও খবর দেখুন