নদিয়া: ফের খবরের শিরোনামে সিভিক ভলান্টিয়ার (Civic Volunteer) । চাকরির ভুয়ো নিয়োগপত্র দিয়ে ৩২ লক্ষ টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠল তার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত কালনা থানায় কর্মরত। তার সঙ্গে নাম জড়িয়েছে ওই এলাকার এক তৃণমূল নেতার (TMC Leader)। তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা কাওসার ও তার বাবা। আইনের দ্বারস্থ হতে চলেছেন তৃণমূল নেতা।
নদিয়ার (Nadia) গাঙনাপুর থানার বুলবুলি বিশ্বাসের অভিযোগ, কালনা থানার ধাত্রীগ্রামের কাছে দুর্গাপুর বলে এক গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তার সঙ্গে পরিচয় হয় ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের। তার বাড়ি ধাত্রীগ্রামের কালনা থানার মুসলিমাবাদ গ্রামে বাড়ি, কালনা থানায় কর্মরত তিনি। সেখানেই সিভিক ভলান্টিয়ার মারফৎ বুলবুলির সঙ্গে আলাপ হয় তৃণমূল নেতা কাউসার শেখের।
আরও পড়ুন: ২০ ডিগ্রির নীচে নামল কলকাতার পারদ, জেলায় নিম্নমুখী তাপমাত্রা
কাওসার বুলবুলি বিশ্বাসকে বলেন, কলেজে চাকরি ফাঁকা আছে ইচ্ছুক হলে টাকা দিতে হবে। রাজি হন বুলবুলি। এরপর বুলবুলি বিশ্বাসের বাড়ি গিয়ে খেপে ,খেপে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা নেন তিনি। শুধু তাই নয়, বুলবুলি বিশ্বাসের বাড়িতে যাওয়াতে, আত্মীয় সঙ্গে পরিচয় হয় , তাঁদের ৮ থেকে ৯ জনের কাছ থেকে টাকা নেয় কাউসার শেখ।
বুলবুলি বিশ্বাসের অভিযোগ এলাকার ১ তৃণমূল নেতা, ডক্টর রেজাউল ইসলাম মোল্লার নামও তার ছবি দেখিয়েছিল। সেই বিশ্বাসে কাওসারকে টাকা দিয়েছিল বুলবুলি সহ ৮ থেকে ৯ জন। কিন্তু তার বদলে ২০২২ সালের তাঁদের দেওয়া হয়েছিল ভুয়ো নিয়োগপত্র।
২০২০ সাল থেকে ২২ সাল পর্যন্ত ধাপে ধাপে টাকা নেওয়া চলেছিল বলে, জানিয়েছন বুলবুলি। ভুয়ো জানার পর বুলবুলি তার টাকা ফেরত চায়। মাস দুয়েক আগেও বুলবুলি কাওসারের বাড়িতে টাকা ফেরত চাইতে গেলে , কাউসারের বাবা তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এদিকে কাওসারের বাবার দাবি, বাড়িতে আসতো আমাকে কাকু বলতো। সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন।
হুমকি ও প্রাণনাশের ভয়ে কানলা থানায় ও পূর্ব বর্ধমান পুলিশ সুপারের কাছে স্পিড পোস্টের মাধ্যমে অভিযোগ পত্র পাঠিয়েছে বুলবুলি। শনিবার অর্থাৎ আজ দুপুরে কালনা থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন মহিলা।
এ ব্যাপারে কাওসার শেখ টাকা নেওয়ার বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করে। কাউসারের বক্তব্য, তার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়াতে চেয়েছিল বুলবুলি বিশ্বাস তাতে রাজি না হওয়াতেই তাকে ফাঁসানো হয়েছে।
অপরদিকে তৃণমূল নেতা,ডক্টর রেজাউল ইসলাম মোল্লার দাবি, ওই মহিলাকে তিনি চেনেন না। যে মহিলা দাবি করছে তার ছবি দেখে টাকা দিয়েছে তার বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেব।
দেখুন অন্য খবর: