কলকাতা: বাঘিনী জিনাতকে (Tigress Zeenat) বাগে আনতে রীতিমতো কালঘাম ছুটে যাচ্ছে বনদফতরের বাঘা বাঘা কর্তাদের। আজ জিনাতকে কাবু করতে করা হল ট্রাঙ্কুলাইজ। ট্রাঙ্কুলাইজ গুলি বাঘিনীর শরীরে লেগেছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে বনবিভাগ (Forest Department) । গুলি আদৌ বাঘিনির গায়ে লেগেছে কিনা এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না বনকর্তারা। রানিবাঁধের গোসাইডি গ্রাম সংলগ্ন জঙ্গলে এখনও রয়েছে জিনাত। বাঁকুড়ার গোসাইডিহি জঙ্গল ঘিরে রয়েছে বনবিভাগ।
বাঁকুড়ার গোসাইডিহি গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলেই রয়েছে জিনাত। গ্রামের মাত্র ৫০০ মিটারের মধ্যেই থাকা জঙ্গলে রয়েছে বাঘিনী। এই মূহুর্তে বাঁকুড়ার রানীবাঁধ ব্লকের পুড্ডি পঞ্চায়েতের বারুনিয়া ও গোসাঁইডি গ্রাম সংলগ্ন ঝোপের মধ্যেই বাঘিনী রয়েছে বলে বনদফতর সূত্রে খবর। স্বাভাবিকভাবেই গ্রাম জুড়ে আতঙ্ক রয়েইছে। শনিবার ভোরে বাঘিনীর পায়ের ছাপ দেখেতে পান স্থানীয়রা। গ্রামের প্রধান রাস্তা দিয়ে জিনাত গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলে প্রবেশ করেছে। পরে বন দফতর গ্রামে গিয়ে ট্র্যাকিং ডিভাইসের সাহায্যে বাঘিনির লোকেশন ট্র্যাক করতে সক্ষম হন। ১৯২ ঘণ্টা পর অবশেষে দেখা মেলে জিনাতের। শনিবার দুপুরের দিকে বনকর্মীরা বাঘিনীকে হেঁটে জঙ্গলে ঘেরা রাস্তা পারাপার করতে দেখেন। রাজ্যের মুখ্য বনপাল বিদ্যুৎ সরকার জানান, যে জায়গায় বাঘিনী রয়েছে সেখানে খাঁচা পাতা সম্ভব নয়। সে কারণে ওই এলাকাটিকে দুটি স্তরে জাল দিয়ে ঘেরা হয়েছে। নেটের বাইরে জ্বালানো হয়েছে আগুন।
আরও পড়ুন: হাড়ালে বাজি বিস্ফোরণ, অগ্নিদগ্ধ তিন
প্রসঙ্গত, ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ (Mayurbhanj) থেকে পায়ে হেঁটে ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ির (Belpahari) কাঁকড়াঝোড়-ময়ূরঝর্ণার জঙ্গল থেকে বান্দোয়ানের পাহাড়ে ঘুরেছে। এরপর লোকালয়ে চলে যায় জিনাত। মানবাজারের ডাংরডির জঙ্গলে ছিল সে। তবে শুক্রবার রাতে জালের নিচ দিয়ে পালায় জিনাত। তারপর থেকে বর্তমানে মুকুটমণিপুরের কংসাবতী জলাধারের কোল ঘেঁষা রানিবাঁধ ব্লকের বন পুকুরিয়া ডিয়ার পার্কের কাছে গোঁসাইডিহিতে চলে যায়।
অন্য খবর দেখুন