কলকাতা: কোনও দোষ করিনি, আমি নির্দোষ, দাবি সঞ্জয়ের (Sanjay Roy)। সঞ্জয় বলে, আপনি বিচারক। সবই বুঝতে পারছেন। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমি যদি এই কাজ করতাম তাহলে আমার গলার রুদ্রাক্ষের মালা ছিঁড়ে যেত। ধর্ষণ (Rape) ও খুন (Murder) আমি কোনটাও আমি করিনি।
কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলল সঞ্জয় রায়। ফের বলে, “আমি কিছু করিনি স্যার। আমাকে দোষী প্রমাণিত করা হয়েছে। কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে চিৎকার করে সঞ্জয়ের, আমি কিছু করিনি। জোর করে বয়ানে সই করিয়ে নেওয়া হয়েছে। যা বলছে তাই করেছি। আমার মারধর করা হয়েছে। সিবিআই গাড়ি করে নিয়ে যায়। শারীরিক পরীক্ষা হয়নি। পুরোপুরি ফাঁসানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘শুধু সঞ্জয় নয়, যুক্ত আরও অনেকেই’, বিস্ফোরক দাবি নির্যাতিতার বাবা-মায়ের
বিচারক অনির্বাণ দাস (Justice Anirban Das) বলেন, আপনি আগেও বলেছেন আপনি নির্দোষ। যা যা হয়েছে আপনার থেকেই বেশি কিছু জানে না। যা যা প্রমাণ এসেছে তার ভিত্তিতে বিচার হয়েছে। আপনাকে বলার জন্য তিন ঘণ্টা সময় দেওয়া হল। তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে সাজা ঘোষণা করা হবে।
বিচারক বলেন, “আপনাকে কাল বলেছিলাম আপনার বিরুদ্ধে চার্জ আনা হয়েছিল। এসব চার্জ প্রমাণিত হয়েছে।” ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪, ৬৬ এবং ১০৩/১ ধারায় কী কী শাস্তি হতে পারে।
সিবিআইয়ের আইনজীবী (CBI Lawyear) বলেন, একজন সেবা কাজে নিযুক্ত ছিলেন, তাঁকে খুন ও ধর্ষণের মতো ঘটনা, বিরলের থেকে বিরলতম ঘটনা। কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হোক, যাতে আদালতের উপর মানুষের আস্থা থাকে।
বিচারক সঞ্জয়কে জিজ্ঞাসা করেন, মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ আছে কিনা, সঞ্জয় জানায়, পুলিশ ব্যারাকে থাকতাম মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ নেই।
সিবিআই এদিন আদালতে সঞ্জয় রায়ে সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির সাজা দাবি করেন।
মৃত্যুদণ্ডের বিকল্প কিছু আছে কি, তাহলে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করা হোক, আদালতে জানালেন সঞ্জয়ের আইনজীবী। মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে নই, সংশোধনের সুযোগ দিতে হবে।
বিচারক অনির্বাণ দাস বলেন,আপনার কাছে যে বিকল্প শাস্তির কথা জানা থাকলে, সেটি আমাকে লিখে জানান। কারণ আমাদের হাতে সময় খুব কম।
শিয়ালদহ কোর্টে (Sealdah Court) ২১০ নম্বর ঘরে কড়া পাহারায় চলছে আরজি কর (RG Kar Case) কাণ্ডের শুনানি।