ওয়েব ডেস্ক: বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্রের মতো বিহার (Bihar) থেকে রাজ্যে ঢুকছে জাল ওষুধও (Fake Medicine)। তা ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন প্রান্তে। সেই ওষুধই আসল বলে কিনছেন রোগী পরিবার। এরকমই চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এল হাওড়া আমতায়। উদ্ধার লক্ষ-লক্ষ টাকার জাল ওষুধ। আমতায় গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে এক ব্যবসায়ীকে। এই চক্রে আর কেউ জড়িত রয়েছে কি না জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগ, আমতার মান্না এজেন্সি নামে এক ওষুধ সংস্থার মালিক বাবলু মান্না বিহারের পাটনা থেকে জাল ওষুধ এনে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ করতেন। সম্প্রতি উত্তর চব্বিশ পরগণার একটি দোকানে জাল ওষুধ বিক্রির বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ওষুধ কোম্পানির নজরে আসে। জাল ওষুধের কিউআরের সঙ্গে আসল কোম্পানির কিউআর কোড মেলেনি। সংশ্লিষ্ট ওষুধ কোম্পানি ড্রাগ কন্ট্রোলের আধিকারিকদের ঘটনাটি জানান। তদন্তে নামেন ড্রাগ কন্ট্রোল আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবার আমতা সিনেমাতলা সংলগ্ন মান্না এজেন্সিতে হানা দেন আধিকারিকরা। ঘটনায় উদ্ধার হয় লক্ষ-লক্ষ টাকার জাল ওষুধ। এরপর এজেন্সির মালিক বাবলু মান্নাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এজেন্সিটি সিল করে দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, ওই এজেন্সি ইতিমধ্যে ১ কোটি ৮৬ লাখ টাকার জাল ওষুধ বাজারে সরবরাহ করেছে বলে অভিযোগ। তবে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী দাবি করেছেন, তিনি ওই কাজ করেননি। ঘটনায় গর্জে উঠেছেন বিরোধীরা। তৃণমূল এই প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়ায় বাম আমলে মেডিক্যাল কিট কেলেঙ্কারির ঘটনা তুলে ধরেছে।
আরও পড়ুন: বীরভূমে উদ্ধার একই পরিবারের তিন জনের রক্তাক্ত দেহ
উল্লেখ্য, ড্রাগ কন্ট্রোল আধিকারিকের সংখ্যা রাজ্যে আরও বাড়ানোর দাবি উঠেছে। বর্তমানে প্রয়োজনের তুলনায় সংখ্যা খুব কম। তা বাড়লে ওষুধের দোকানগুলিতে পরিদর্শন বাড়ানো সম্ভব হবে।
দেখুন অন্য খবর: