Tuesday, December 23, 2025
HomeScrollAajke | অভিজিৎ গাঙ্গুলির প্যাটিস খাবেন শুভেন্দু অধিকারি?
Aajke

Aajke | অভিজিৎ গাঙ্গুলির প্যাটিস খাবেন শুভেন্দু অধিকারি?

খোদ অমিত শাহ এক গট আপ গেম খেলছেন তৃণমূলের সঙ্গে?

গাঙ্গুলি (Abhijit Gangopadhyay) সাহেব বোমার পর বোমা ফাটিয়েই যাচ্ছেন, কেস টা ঠিক কী? উনি কি বিজেপির নতুন মুখ হতে চান? উনি কি দমবন্ধ ফিল করছেন? নাকি এক হতাশ বিচারকের মিডিয়াতে ভেসে থাকার ইচ্ছে বের হয়ে আসছে? প্রথমে বললেন ইডি-সিবিআই ঠিক করে কাজ করছে না, ওদের সঙ্গে রাজ্যের শাসক দলের এক সেটিং কে ইশারা করলেন, এক্কেবারে সেই ভাষায় যে ভাষায় গত আট ন বছর ধরে সিপিএম কথা বলছে। কিন্তু বিচারকের জ্ঞান গম্যি কি লোপ পেয়েছে, এই ইডি সিবিআই তো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) হাতে, তাহলে কি খোদ অমিত শাহ এক গট আপ গেম খেলছেন তৃণমূলের সঙ্গে? এবং দলের মধ্যে সেই বিতর্ক শেষ হবার আগেই তিনি আবার বোমা ফাটালেন, প্যাটিস বিক্রেতা এক মুসলমান সংখ্যালঘু মানুষ তাকে কেন মারধোর করা হল? বিচারক হিসেবে তিনি আইনী কথাবার্তাও বলেছেন। কিন্তু এবারের লক্ষ্য তো শুভেন্দু অধিকারী, যিনি ওনাকে হাতে ধরে বিজেপিতে নিয়ে গিয়ে এম পি বানিয়েছেন। কারণ সেই প্যাটিস বিক্রেতা ঠ্যাঙানো বীর হিন্দু তিন যুবককে তো শুভেন্দু অধিকারী সম্বর্ধনা দিয়েছেন, হিন্দু বীরের সম্বর্ধনা। নেতা মব লিঞ্চিং এ অভিযুক্তদের সম্বর্ধনা দিচ্ছেন আর উনি তাকে বে আইনী বলছেন, যা নিয়ে দলের মধ্যে আবার শোরগোল। কিন্তু তিনি কি সত্যিই কেবল এক শোরগোলই তুলতে চান? বঙ্গ বিজেপির নেতাদের অপ্পদস্থ করতে চান? নাকি এক পরিকল্পনা মাফিক তিনি এসব বলছেন? সেটাই বিষয় আজকে, অভিজিৎ গাঙ্গুলির (Abhijit Gangopadhyay) প্যাটিস খাবেন শুভেন্দু অধিকারি (Suvendu Adhikari)?

অরাজনৈতিক বুদ্ধিজীবি, প্রফেশনাল, গায়ক নায়ক কবি সাহিত্যিকরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে গেছেন, কিন্তু সব্বাই তো অনুপম খের কিম্বা পরেশ রাওল নন, প্রায় বেশিরভাগ এই সেলিব্রিটি জগতের লোকজনেরা তাঁদের দলকে কখনও না কখনও অপদস্থ করেছেন, এ নতুন কিছু নয়। আসলে তাঁদের এক জনপ্রিয়তা থাকে, তাঁদের এক ভক্তকূল থাকে, কিছুদিন পরেই তাঁদের মনে হয় যে তাঁদের প্রাপ্য সন্মান দেওয়া হচ্ছে না, তাঁদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না, বিশেষ করে তাঁরা মন্ত্রী সান্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় না থাকলে সেভাবে ক্ষমতাকে ব্যবহার না করতে পারলে হতাশ হন আর ক্ষমতা উপভোগ না করতে পারার থেকে এক হতাশা তাঁদেরকে গ্রাস করে, আর তখন ওনারা এমন কিছু বলতে শুরু করেন, যা নিয়ে দলে শোরগোল শুরু হয়, উচ্চতম নেতৃত্বের দৃষ্টি আকর্ষণই আদত উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়ায়। আমাদের অভিজিৎ গাঙ্গুলি একজন সেলিব্রিটি বিচারক ছিলেন, বইমেলায় গিয়ে চে গুয়েভারা কিনেছেন আবার বিজেপিও করেছেন, তিনি রাজ্য সরকারের বিভিন্ন নেতা মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দূর্নীতি মামলা নিয়ে সরব ছিলেন, ঢাকি সমেত বিসর্জন দেবো গোছেরও কথা বলেছেন, আর সেসব কথা বলেছেন একজন নিরপেক্ষ বিচারপতি হিসেবেই, আর সেই বিচারপতি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার দিন দুই পরেই তিনি বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন, সেখানে একটা গট আপ গেম যে ছিল তা নিয়ে তো কোনও সন্দেহই নেই। কিন্তু সেই তিনি ওই বিচারালয়ে বসে দিনের পর দিন সিবিআই ইডি কর্তাদের কথা শুনেছেন, তাঁদের আনা তথ্য বিচার করেই জানিয়েছেন যে কত্ত বড় দূর্নীতি চলছে এই বাংলাতে যার ফলে ওই ঢাকি সমেত, মানে মুখ্যমন্ত্রী সমেত গোটা সরকারটাকেই বিসর্জন দেওয়া উচিত বলে মনে করেছেন। কিন্তু তখন কি তিনি একবারের জন্যও ওই ইডি বা সি বি আই গট আপ গেম খেলছে, মমতা সরকারের সঙ্গে এক সেটিং আছে তেমন কথা তো বলেন নি। আজ দেড় বছরের মাথায় কী দেখে ওনার এই জ্ঞান চক্ষু খুলে গেল? কোন প্রমাণ হাতে নিয়ে তিনি বলছেন এই কথাগুলো? নাকি আপাতত কোনও কল্কে না পাওয়ার ফলে, মানে উনি এটুকু তো আশা করেছিলেন যে অন্তত আইন দপ্তরের খোকা মন্ত্রীত্ব পাবেন, সেসব কিছুই জোটেনি বলেই কি ওনার এই গোঁসা? সেই গোঁসার কথা শুভেন্দু বাবুকে বলেও কি কোনও সমাধান হয়নি বলেই তিনি মুখ খুলছেন এবং ভোট পর্যন্ত এই বোমা ফাটাতেই থাকবেন? আমরা আমাদের দর্শকদের জিজ্ঞেষ করেছিলাম যে একদা বিচারক অভিজিৎ গাঙ্গুলি ক্রমাগত বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেলে নানান বিবৃতি দিচ্ছেন, কখনও বলছেন ইডি সি বি আই মমতা সরকারের সেটিং আছে, কখনও বলছেন গীতাপাঠের আসরে সংখ্যলঘু প্যাটিসওলাকে মারাটা অন্যায়, বে আইনি। তিনি কি বিজেপিতে মন্ত্রীত্ব না পেয়ে, গুরুত্ব না পেয়ে এসব বলছেন? নাকি কারোর নির্দেশেই এই কথাগুলো বলে চলেছেন? আপনাদের কী মনে হয়? শুনুন মানুষজন কী বলেছেন।

দলের বাইরে থেকে আসা এই সেলিব্রিটিরা প্রত্যেক দলেই পোটেনশিয়াল টাইম বোমা, সময় দেখে ফাটে, সময় দেখে তাঁদের হতাশা বের হয়ে আসে, আর তখন দলের নেতারা অস্বস্তিতে পড়েন। আমাদের এই ভগবান বিচারকবাবুও সেই গোত্রের হতাশ একজন, যিনি ভেবেছিলেন তাঁর বিচারপতি হওয়ার সুবাদেই তিনি আইন দপ্তরের অন্তত কনিষ্ঠ মন্ত্রী হবেন, এবং সেটা হয়ত তাঁর সঙ্গে গোপন ডিলের শর্তও ছিল, আজ সেই শর্ত পূরণ না হওয়াতে তিনি হতাশ, আর সেই হতাশাই ঝরে ঝরে পড়ছে, তবে অভিজিৎ গাঙ্গুলিকে যাঁরা একটু ভাল করে চেনেন জানেন, তাঁদের বক্তব্য সবে তো কলির সন্ধে, তিনি এই বোমা একটা সময় অন্তর অন্তর ফাটিয়েই যাবেন, দলকে বিব্রত করেই যাবেন।

Read More

Latest News