কলকাতা: ৪৮ ঘণ্টা কাটতে চলেছে৷ এখনও বেহালার জোড়া খুনের ঘটনার কিনারা করতে পারেননি তদন্তকারীরা৷ উল্টে জটের পর জট তৈরিই হয়ে চলেছে৷ এবার মা ও ছেলে খুনের ঘটনায় নতুন তথ্য পেলেন তদন্তকারীরা৷ একজন নয়, একাধিক লোক খুনের ঘটনায় জড়িত বলে অনুমান পুলিশের৷ যে পদ্ধতিতে খুন হয়েছে তা দেখে তদন্তকারীদের ধারনা, চেনা লোক কেউ খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত৷ তাঁর সঙ্গেই ঘরে ঢুকেছিল আততায়ী৷ তার পরই নৃশংসভাবে ব্যাঙ্ক কর্মীর স্ত্রী ও ছেলেকে খুন করা হয়৷
সোমবার রাতে বেহালার পর্ণশ্রীর একটি আবাসন থেকে উদ্ধার হয় এক মহিলা ও তাঁর ছেলে মৃতদেহ৷ দু’জনেরই গলা ধারাল অস্ত্র দিয়ে কাটা৷ লালবাজারের অনুমান সোমবার দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে খুন হয়৷ আততায়ী অস্ত্র হাতে ফ্ল্যাটের ভিতর ঘুরে বেড়িয়েছে। তবে সেটা খুনের পর না আগে তা স্পষ্ট নয়। খুনের সময় সুস্মিতা মণ্ডল এবং তমোজিৎ মণ্ডল একই ঘরে ছিলেন। পরে এক জনকে টেনে নিয়ে অন্য ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ টেনে নিয়ে যাওয়ার রক্তমাখা দাগ মেঝেতে খুঁজে পেয়েছে।
খুনি কি মৃতদের পূর্ব পরিচিত? কেননা খুন হয়েছে দিনের বেলা। আবাসনের বাকি বাসিন্দারা সে সময় কোনও আওয়াজ বা চিৎকার শুনতে পাননি। তা হলে টার্গেটদের প্রথমে বেঁহুশ করে তারপর খুন করা হয়? কিন্তু খুনের উদ্দেশ্য কী? পুরনো শত্রুতা, নাকি ঘরের দামি কোনও জিনিস হাতিয়ে নেওয়া বা ডাকাতি করা? কিন্তু তা যদি হত তা হলে ফ্ল্যাটের ভিতরটা লন্ডভন্ড অবস্থায় থাকত। তা ছিল না। এই সব মিসিং লিংকগুলোই একসূত্রে বাঁধার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।