Wednesday, June 11, 2025
Homeরাজনীতিলকেট কি তৃণমূলে? হুগলির সাংসদের সঙ্গে টুইট যুদ্ধ কুণালের

লকেট কি তৃণমূলে? হুগলির সাংসদের সঙ্গে টুইট যুদ্ধ কুণালের

Follow Us :

কলকাতা: টুইট, পাল্টা টুইট ঘিরে সরগরম ভবানীপুর উপনির্বাচনের শেষবেলার প্রচার। সোমবার ভবানীপুরে প্রচারের শেষ দিন। শারীরিক অসুস্থতার জন্য ময়দানে না থাকলেও বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে টুইটারে জমিয়ে ‘যুদ্ধ’ সারলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এ দিন সকালে প্রথম টুইট করেন কুণাল।

বিজেপির তারকা প্রচারকের তালিকায় হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নাম থাকলেও তিনি প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের সমর্থনে প্রচারে নামেননি। তৃণমূল প্রার্থী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রচার না করার জন্যই টুইটে লকেটকে ধন্যবাদ জানান কুণাল।

আরও পড়ুন: এ বার কি তৃণমূলে লকেট? কুণালের ‘রহস্যময়’ টুইট ঘিরে জোর জল্পনা

টুইটে কুণাল লেখেন, ‘ভবানীপুরে প্রচারে না নামার জন্য তারকা প্রচারক লকেট চট্টোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। বিজেপির অনেক অনুরোধ করলেও আপনি প্রচার করেননি। একজন বন্ধু হিসাবে আপনি যেখানেই থাকুন, আপনার সাফল্য কামনা করি। পৃথিবী খুব ছোট। আশা করি পুরনো সেই দিনের মুহূর্তগুলো ফিরে আসবে আবারও, সেই সময়টা যখন আপনি রাজনীতির ইনিংস শুরু করেছিলেন।

এর কয়েক ঘণ্টায় মধ্যে কুণালের টুইটের জবাব দেন লকেট। বিজেপি সাংসদ লেখেন, ‘ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে না হারেন সেই দিকে আপনি নজর দিন।’ এখানেই থামেনি টুইট যুদ্ধ। কুণাল পাল্টা জবাব দেন লকেটকে। তৃণমূল মুখপাত্র লেখেন, হা হা! চিন্তা করবেন না। মমতাদি বড় ব্যবধানে জয়ী হবেন। আপনি সেটাই চান। আমি জানি, আপনি আপনার পার্টির পক্ষে লিখবেন। কিন্তু তবুও আপনাকে ধন্যবাদ যে, আপনি জবাবেও প্রার্থীর নাম উল্লেখ করেননি।

আরও পড়ুন: ভবানীপুরে সাধারণ ভোটারদের সুরক্ষা নেই, দাবি বিজেপির, নির্বাচন স্থগিতাদেশের আর্জির ভাবনা

এর পরেই ইঙ্গিতবাহী মন্তব্য করেন কুণাল। লেখেন, ‘কঁহি পে নিগাহে, কঁহি পে নিশানে’। বাংলায় যার অর্থ, ‘দৃষ্টি কোথাও, নজর অন্য কোথাও’। সম্প্রতি লকেটের তৃণমূলে যোগদান ঘিরে জল্পনা ছড়ায়। ১৯ সেপ্টেম্বর, রবিবার রাতে কালীঘাটের তৃণমূল কার্যালয়ে আসেন বলে একটি বাংলা দৈনিকে সম্প্রতি খবর প্রকাশিত হয়৷ তার পর থেকে লকেটের ফুল বদলের জল্পনা শুরু হয়েছে।

যদিও ২০ তারিখ, সোমবার ওই খবরের কার্টিং টুইট করে মিথ্যা বলে দাবি করেছেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়৷ একই সঙ্গে তিনি ওই সংবাদ পত্রের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন৷ জল্পনা এমন স্তরে পৌঁছয় যে বিজেপির সর্বভারতীয় জেপি নাড্ডা ডেকে পাঠান লকেটকে। একান্তে কথাও বলেন। বিজেপি ছাড়ার আগে বাবুলও কথা বলেছিলেন নাড্ডার সঙ্গে। যদিও ওই বৈঠক প্রসঙ্গে লকেট বলেন, নাড্ডা উত্তরাখণ্ড নিয়ে কথা বলতে ডেকেছিলেন।

আরও পড়ুন: ভোট প্রচার নিয়ে ভবানীপুরে গোলমাল, রিপোর্ট তবল নির্বাচন কমিশনের

RELATED ARTICLES

Most Popular