জলপাইগুড়ি: দুপুর দু’টোর পর ডাক্তারবাবুর সঙ্গে মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের (Medical Representative) দেখা করার সময়৷ কিন্তু অভিযোগ, সকাল সাড়ে ১১টার পরই আউটডোরে (Outdoor) রোগী দেখা ছেড়ে এমআর-দের ঘরে ডেকে নেন জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের (Jalpaiguri Super Speciality Hospital) চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার শুভম চট্টোপাধ্যায়৷ আর সেই ছবি ক্যামেরায় তুলতে গিয়ে আক্রান্ত হন কলকাতা টিভির (Kolkata TV) সাংবাদিক সুজিত দে৷ এক নিরাপত্তা কর্মীকে ডেকে কলকাতা টিভির সাংবাদিককে সেখানে আটকে রাখার হুমকি দেন৷ শুধু তাই নয়, সুজিত দে-র মোবাইল ফোনও কেড়ে নেওয়া হয়৷ তাঁকে মারধর করা হয়৷ যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চিকিৎসক শুভম চট্টোপাধ্যায়৷ তাঁর দাবি, মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের ডেকে বলেছি আপনারা এখানে আসবেন না৷
আরও পড়ুন: মাথা পিছু আয় বৃদ্ধিতে দেশের সেরা বাংলা, টুইট অর্থমন্ত্রীর
শুক্রবার সকালে এই ঘটনায় জলপাইগুড়ির সাংবাদিক মহলে আলোড়ন ছড়িয়ে পড়ে৷ কলকাতা টিভির পাশে দাঁড়ান অন্যান্য সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা৷ অভিযুক্ত চিকিৎসকের ঘরে গিয়ে সবাই প্রশ্ন করেন, আউটডোর চলাকালীন কেন তিনি মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের সঙ্গে ঘরে বসে গল্প করছিলেন? কলকাতা টিভির সাংবাদিক সুজিত দে বলেন, ‘আজ স্বাস্থ্য দফতরের একটি টিম হাসপাতাল পরিদর্শনে আসার কথা ছিল৷ সেটা কভার জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলাম৷ কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখলাম আউটডোরে রোগী দেখা ছেড়ে মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের ঘরে ডেকে নেন চিকিৎসক শুভম চট্টোপাধ্যায়৷ সেই ছবি তুলতে গেলে তিনি সিকিউরিটি গার্ডকে ডেকে আমাকে আটকে রাখার হুমকি দেন৷ ওই সিকিউরিটি গার্ড তার পর আমায় মারধর করে৷ তাতে আমার ডান হাতে চোট লাগে৷ আমার মোবাইল ফোনও কেড়ে নেওয়া হয়৷’

যদিও অভিযুক্ত চিকিৎসকের বক্তব্য, ‘সেই সময় আমার কোনও রোগী ছিল না৷ রিপ্রেজেন্টেটিভদের ডেকে এনে বলেছি, আপনারা আসবেন না৷ দেড়টার পর আসবেন৷’ উল্টে তাঁর অভিযোগ, হাসপাতালের কর্মীকে মারধর করা হয়েছে৷ সাংবাদিক মেরেছে৷ সেটা শুনে সাংবাদিকরাও মারধরের প্রমাণ চান৷ সিসিটিভি ফুটেজ দেখাতে বলেন৷ তখন ওই চিকিৎসক বলেন, সুপারের সঙ্গে গিয়ে কথা বলুন৷
আরও পড়ুন: মোবাইল টাওয়ার বসানোর নামে আর্থিক প্রতারণা, গ্রেফতার ৫
হাসপাতালের সুপার ডাঃ গয়ারাম নস্কর পরে জানান, আউটডোরের সময়ে এমআর-রা এলে এটা অন্যায় হয়েছে৷ সাংবাদিকের গায়েও হাত দেওয়া উচিত হয়নি৷ যিনি করেছেন সেই নিরাপত্তা এজেন্সিকে শোকজ করা হবে৷ যাতে এরকম ঘটনা আর এই হাসপাতালে না হয়৷
