নয়াদিল্লি: করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘ওমিক্রন’ (Omicron) নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) ইতিমধ্যেই এই ভ্যারিয়েন্টকে উদ্বেগজনক বা ‘ভেরিয়েন্ট অব কনসার্ন’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা সহ বেশ কয়েকটি দেশে ছড়াচ্ছে ‘ওমিক্রন’ (Omicron variant)। ভারতে এখনও পর্যন্ত এই ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মেলেনি বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এরই মধ্যে বিমানযাত্রীদের জন্য নতুন গাইডলাইন জারি করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক।
এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এএআই) সূত্রে খবর, বুধবার থেকেই যাত্রীদের নতুন গাইডলাইন মানতে হবে। কী রয়েছে সেই গাইডলাইনে? ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, বাংলাদেশ, চীন, মরিশাস, নিউজিল্যান্ড, জিম্বাবোয়ে, সিঙ্গাপুর, হংকং, ইসরায়েল, বৎসোয়ানা থেকে ভারতে এলে বিমানবন্দরেই যাত্রীদের করোনা পরীক্ষা করতে হবে। এই দেশগুলিকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ দেশ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
পরীক্ষার রিপোর্ট এলে তবেই বিমানবন্দর থেকে বেরোনো যাবে। রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও ৭ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। অষ্টম দিন আবারও টেস্ট করতে হবে। সেই রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও ৭ দিন স্বাস্থ্যের দিকে কড়া নজর রাখতে হবে। রিপোর্ট পজিটিভ এলে সেই নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিংও (জিন বিশ্লেষণ) করা হবে।
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন কি ওমিক্রনকে রুখতে সক্ষম, কি বললেন এপিডেমিওলজিস্ট তন্ময় মহাপাত্র ?
জিনোম সিকোয়েন্সিং এমন একটি কৌশল, যা থেকে জেনেটিক তথ্য বিশদে জানান সম্ভব। এর ফলে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে ‘ওমিক্রন’ প্রজাতি থাবা বসিয়েছে কি না, তাও সহজে জানা যাবে। রিপোর্ট পজিটিভ এলে আইসোলেশনে থাকতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে আসা মানুষদেরও কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। ‘ঝুঁকিপূর্ণ দেশ’ ছাড়া অন্য দেশ থেকে ভারতে আসা যাত্রীদেরও কোভিড পরীক্ষা করাতে হবে।
তবে এক্ষেত্রে অনেকটাই ছাড় রয়েছে। বিমানপিছু মাত্র ৫ শতাংশ যাত্রীর করোনা টেস্ট করলেই চলবে। শুধু বিমানবন্দর নয়, দেশের সমুদ্রবন্দরগুলির যাত্রীদের জন্যও এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। যে সমস্ত যাত্রী অন্য দেশে যাবেন তাঁদেরও কোভিড টেস্ট করতে হবে। সেই রিপোর্ট ৭২ ঘণ্টার বেশি পুরনো হওয়া চলবে না। যাত্রা শুরু আগের ১৪ দিনের গতিবিধি জানিয়ে তাঁদের সেলফ ডিক্লেয়ারেশন ফর্মও জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: করোনার নতুন স্ট্রেন থেকে বাঁচবে ভারত? কী বলছেন চিকিৎসকেরা
সম্প্রতি একটি বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে দেশবাসীকে সতর্ক করেন। তিনি বলেন, ‘উচ্চ সংক্রমণযুক্ত এলাকাগুলিতে নজরদারি বাড়াতে হবে। কনটেনমেন্ট জোনগুলির দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। দেশবাসীকে আরও সতর্ক হতে হবে। মাস্ক পরা ছাড়াও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। রাজ্যগুলিকে দেখতে হবে যারা কোভিড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পেয়েছেন, তাঁরা যেন সময়মতো দ্বিতীয় ডোজ নেন।’