কম দামে পুষ্টিকর প্রোটিন যুক্তি খাবার খেতে চাইলে ডিমের নাম থাকে লিস্টের সবচেয়ে উপরে। খুব সহজেই পুষ্টির সবচেয়ে ভালো উৎস। সেই কারণেই আমাদের অনেকের ডায়েটের এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিন্তু ডিম খাওয়ার আগে বা কেনার আগে ভালো করে চিনে নেওয়া দরকার ভালো আর উপযুক্ত ডিম। জানেন কীভাবে?
ডিম ভাঙার পর অনেক সময়ই ডিমের ওপরে কিংবা ভেতরে লাল রক্তের দাগ, হালকা নীলাভ, সবুজ কিংবা গোলাপি রং লক্ষ্য করা যায়। এরকম যদি কখনো আপনার সঙ্গে হয়ে থাকে তাহলে সাবধান হয়ে যান। ডিম চেক করার একটি পদ্ধতি হলো ক্যান্ডলিং পদ্ধতিতে পরীক্ষা হয়। এ পদ্ধতিতে তীব্র আলো দিয়ে কুসুমের ভেতরটি দেখার চেষ্টা করা হয়। বাজার থেকে কেনা এসব ডিম বাজারে আসার আগেই অনেকবার চেকিং করা হয়। আলোর মাধ্যমে ডিমের ভেতরে রক্তের দাগ, হালকা নীলাভ, সবুজ কিংবা গোলাপি রং দেখা গেলে সেখানেই এসব ডিম বাজারে আনার জন্য বাতিল করা হয়। তবে, এত চেকিংয়ের পরও বাজারে কখনও কখনও এ ধরনের ডিম পাওয়া যায়। বিক্রেতারা ক্রেতাদের তাড়াহুড়োর সময়কে কাজে লাগিয়ে এসব ক্ষতিকর ডিম সহজেই বিক্রি করেন। তাই সে ক্ষেত্রে আপনাকেই সাবধান হতে হবে।
আরও পড়ুন: Corona Updates | স্বস্তির খবর, দেশে সামান্য করোনা সংক্রমণ
বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি ডিম ভাঙার পর সেখানে রক্তের দাগ পাওয়া যায়। তবে, শুধু সেই সামান্য অংশটুকু চামচের সাহায্যে ফেলে দিয়ে ভালো করে এপিঠ ওপিঠ ভেজে নিন। এভাবে খেলে শরীরে কোনো ক্ষতির সম্ভাবনা নেই বলে মনে করেন তাঁরা। তবে হালকা নীলাভ, সবুজ কিংবা গোলাপি রঙের ডিম শরীরের ব্যাপক ক্ষতি করবে। ডিমের সামান্য অংশ জুড়ে থাকলেও এটি শরীরের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।
গবেষকরা বলেন, ডিমের রঙে সামান্য বা বেশি পরিমাণে বদল বিষাক্ত ব্যাকটেরিয়াকে নির্দেশ করে। তাই এ ধরনের ডিম সিদ্ধ বা ভেজে কোনোভাবেই খাওয়া উচিত নয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাই এবার থেকে ডিম্ খাওয়ার আগে তাড়াহুড়ো না করে একটু সতর্ক থাকতে হবে।