কলকাতা: সংসদে আগুন ঝড়ালেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। বুধবার অভিষেক নিজের ভাষণের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রকে তুলধোনা করেন। বাজেট নিয়ে সংসদের নিম্নকক্ষে আলোচনার সময় নোটবন্দী নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ শানাচ্ছিলেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ। এদিন অভিষেক বলেন, ২০১৬ সালে নোটবন্দীর ঘটনা ঘটেছিল। তারপর তো ২০১৯ সালও পেরিয়ে গিয়েছে। রীতিমতো কড়া সুরে অভিষেক বলেন, যে বিজেপি যখন ১৯৭৫ সালের এমার্জেন্সি নিয়ে কথা বলে, তখন চুপ করে থাকেন স্পিকার। অথচ তিনি ২০১৬ সালের ঘটনা বলতেই তাঁকে থামানোর চেষ্টা করছেন। আমি আট বছর আগের নোটবন্দী নিয়ে বলতেই আপনি বলছেন যে বর্তমান বিষয় নিয়ে কথা বলুন। স্যার, এই পক্ষপাতিত্ব চলবে না। বিপ্লব দেব বলছিলেন, ৫০ বছরের পুরনো এমার্জেন্সি নিয়ে কথা বলছিলেন, তখন আপনি চুপ করেছিলেন।
বাজেটে বাংলাকে বঞ্চনা করা নিয়েও সরব হন অভিষেক। এনডিএর দুই প্রধান শরিকদল টিডিপি (TDP) এবং জেডিইউ (JDU) শাসিত দুই রাজ্যের জন্য আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এই ইস্যুতেই অবিজেপি রাজ্যগুলির প্রতি বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছেন অভিষেক। তিনি বলেন, এই বাজেটে ৩টি রাজ্যকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তা হল তেলেঙ্গানা, পশ্চিমবঙ্গ ও কর্নাটক। বাজেট বক্তৃতায় বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য মোদি সরকার উদ্যোগ নিচ্ছে জানিয়েছিলেন নির্মলা সীতারামন। বিহার, অসম, হিমাচল প্রদেশ, সিকিম এবং উত্তরাখণ্ডের বন্যার নিয়ে সাহায্যের কথা শোনা গিয়েছে। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে, এই উদ্যোগে নাম ছিল না পশ্চিমবঙ্গের। প্রতি বছরই উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশ বন্যার কবলে পড়ে। বাংলাকে ফের বঞ্চনা করা হয়েছে। অথচ, উত্তরবঙ্গের ৮টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৬টিতেই বিজেপির সাংসদ রয়েছে।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাজেটের প্রতিবাদে সংসদের বাইরে ইন্ডিয়া জোটের বিক্ষোভ
অভিষেক বলেন, বিজেপি সবকা সাথ সবকা বিকাশ-এর মন্ত্র ভুলে ‘জো হামারে সাথ, হম উনকে সাথ’ মন্ত্রে চলছে। বাংলার বিরোধী দলনেতা নিজেই একথা বলেছেন। লোকসভা, রাজ্যসভায় বিজেপির একজনও মুসলিম সদস্য নেই। সংসদে বৈচিত্রের অভাবে। অভিষেক মোদি সরকারের স্লোগান আচ্ছে দিন আয়েঙ্গে প্রসঙ্গে বলেন,আচ্ছে দিনের ১০ বছরে আজ ৪০ টাকা আলুর দাম, হাজার টাকা গ্যাসের দাম। মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হচ্ছে বিজেপির আচ্ছে দিনে। বিজেপির ১০ বছরে বেকারত্ব ৫০ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে।
দেখুন ভিডিও