অযোধ্যা: রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ মামলায় (Ram Janmabhoomi-Babri Masjid Case) সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) রায় অনুসারে অযোধ্যায় (Ayodhya) প্রস্তাবিত মসজিদ (Mosque) নির্মাণের কাজ শুরু হবে আগামী বছর মে মাস থেকে। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের (Lok Sabha) আগেই ২২ জানুয়ারি রামলালার (Ramlala) প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়ে যাবে। তা নিয়ে গোটা দেশকে রামভক্তির জোয়ারে মাতাল করে রেখেছে হিন্দুত্ববাদীরা। সেখানে বিভিন্ন টানাপড়েনে মসজিদ নির্মাণের বিষয়টি দীর্ঘায়িত হয়েছে। মসজিদ নির্মাণের জন্য রাজ্যভিত্তিক দায়িত্বপ্রাপ্তদের আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যেই নিয়োগ করা হবে।
অযোধ্যার ধন্নিপুরে মসজিদ নির্মাণের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশনের (IICF) মুখ্য অছি জুফার ফারুকি বলেছেন, ফেব্রুয়ারি মাঝামাঝি মসজিদের চূড়ান্ত নকশা হয়ে যাবে। এর পর তা প্রশাসনিক অনুমোদনের যাবে। ওই মাসেই মসজিদের জমিতে সাইট অফিস খোলা হয়ে যাবে। উত্তরপ্রদেশ সুন্নি কেন্দ্রীয় ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান ফারুকি আরও জানান, আশা করি আগামী মে মাসের মধ্যে কাজ শুরু হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের বৃহত্তম ‘হীরকরাজ্য’ সুরাতে, জানেন?
মসজিদ নির্মাণের কাজে দেরি হওয়ার কারণ হিসেবে বলেন, বারবার নকশা বদলের কারণে নতুন নতুন করে বিধিনিয়ম বদলাতে হয়েছে। এছাড়াও আর্থিক বাধার কারণেও দেরি হয়েছে বলে মেনে নেন। প্রাথমিকভাবে ভারতীয় মসজিদের আদলে নকশা প্রস্তুত করা হয়েছিল। পরে তা বাতিল হয়ে যায় এবং নতুন করে নকশা তৈরি হয়। আগে ঠিক হয়েছিল ১৫ হাজার বর্গফুট এলাকায় মসজিদ গড়ে উঠবে। পরে তা বদলে ৪০ হাজার বর্গফুট করা হয়েছে, জানান ফারুকি।
তিনি আরও বলেন, গণচাঁদা আদায়ের বিষয়টি আরও কঠিন। তাই প্রতি রাজ্যে এর জন্য দায়িত্ব দেওয়া হবে। আমরা চাঁদাস্বরূপ অর্থ সংগ্রহে স্বচ্ছতা ও ওই ব্যক্তির গ্রহণযোগ্যতাকে প্রাধান্য দেব। প্রয়োজনে অনলাইন ডোনেশনের পথেও টাকা সংগ্রহ করা হবে। মসজিদ কমিটির সচিব আখতার হুসেন বলেন, মসজিদ ছাড়াও একটি হাসপাতাল, গ্রন্থাগার, লোঙ্গরখানা এবং একটি মিউজিয়াম তৈরি হবে। নামকরণ নিয়ে বিভিন্ন মুসলিম গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনা চলছে। তবে মক্কার ইমামকে এনে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের কোনও পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।
অন্য খবর দেখুন