skip to content
Friday, July 5, 2024

skip to content
HomeBig newsগাজায় শিশুকে নোনা জল খাওয়াচ্ছেন বাবা-মায়েরা

গাজায় শিশুকে নোনা জল খাওয়াচ্ছেন বাবা-মায়েরা

দ্বিতীয় পর্যায়ের যুদ্ধ শুরু ইজরায়েলের, প্রতিরোধে তৈরি হামাস

Follow Us :

তেল আভিভ ও গাজা: বিদ্যুৎ নেই, জ্বালানি নেই, খাদ্য নেই, এমনকী পানীয় জলটুকুও নেই। তাই বাধ্য হয়ে বাবা-মায়েরা সন্তানের মুখে পানের অযোগ্য সমুদ্রের নোনা জল (Salty Water) তুলে বাধ্য হচ্ছেন। ন্যূনতম জীবনধারণের কোনও সামগ্রী আর অবশিষ্ট নেই। ইজরায়েলি (Israel) বাহিনী এদিন থেকেই দ্বিতীয় পর্যায়ের আক্রমণ শুরু করে দিয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব গাজার (Gaza) দিক থেকে ইজরায়েলের ট্যাঙ্ক ঢুকছে শহরে। সেগুলি পশ্চিম দিকে এগচ্ছে।

ট্যাঙ্কগুলি বর্তমানে এমন একটা মোড়ের কাছে এসে গিয়েছে, যেখান থেকে গাজাকে দক্ষিণ ও উত্তরের সঙ্গে ভাগ করে দেওয়া যায়। ওই মোড়ের দখল নিতে পারলেই উত্তর ও দক্ষিণ গাজা সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। অন্যদিকে, হামাসের (Hamas) মুখপাত্র হাজিম কাসেম জানিয়েছেন, ইজরায়েলের স্থলপথে আক্রমণ রুখে দিতে আমরা তৈরি। ফলে যুদ্ধ পরিস্থিতি এবার ভয়ানক পরিণতির দিকে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ‘রাজনৈতিক দলের অর্থের উৎস জানার অধিকার নেই ভোটারদের’

ইজরায়েলের ঘনঘন বোমা বর্ষণে প্রতি মুহূর্তে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন সাধারণ প্যালেস্তিনীয় (Palestine)। যদিও ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, রবিবার রাতভর আক্রমণে কয়েক ডজন হামাস জঙ্গিকে নিকেশ করেছে তারা। এই মুহূর্তে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, গাজা সীমান্তে ইজরায়েলি বাহিনীর সাঁজোয়া গাড়ি এগিয়ে চলেছে। কয়েকশো যুদ্ধ ট্যাঙ্ক গাজার পথে ঢুকতে চলেছে। সব মিলিয়ে সোমবার যুদ্ধ পরিস্থিতি ভয়ানক আকার নিতে চলেছে।

রাষ্ট্রসঙ্ঘের শিশু সুরক্ষা সংস্থা ইউনিসেফের (UNICEF) এক আধিকারিক জানান, বেঁচে থাকার ন্যূনতম সামগ্রীর অভাব। পানীয় জল তো নেই, বহু মানুষের পকেটে জল কেনার মতো আর্থিক সঙ্কুলানও নেই। তাই বাবা-মায়েরা বাধ্য হয়ে সন্তানদের অপরিষ্কার, নোনাজল খাওয়াচ্ছেন। এই মুহূর্তে যুদ্ধবিরতি না হলে কয়েক হাজার শিশু প্রাণ হারাবে।

ইউনিসেফের মুখপাত্র টোবি ফ্রিকার জানান, ত্রাণসামগ্রী যা আসছে প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য। মানবিকতার খাতিরে এখনই যুদ্ধবিরতি হওয়া জরুরি। এখনও পর্যন্ত গাজা ভূখণ্ডে ইজরায়েলি আক্রমণে প্রায় ৮ হাজারের বেশি প্যালেস্তিনীয়র মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে শিশুর সংখ্যা ৩৩২৪। জখম হয়েছেন অন্তত ২০ হাজারের বেশি। এর মধ্যে গাজার শহরের উপকণ্ঠে ইজরায়েলি ট্যাঙ্ক দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। গাজার আল কুদস হাসপাতালে ইজরায়েল বোমা বর্ষণ করতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। কারণ, ইজরায়েলের দাবি, ওখানেই সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঘাপটি মেরে রয়েছে হামাস বাহিনী। প্যালেস্তিনীয়দের হাসপাতাল খালি করার নির্দেশ দিয়েছে ইজরায়েলি বাহিনী।

দেখুন অন্য খবর

RELATED ARTICLES

Most Popular