করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে দীর্ঘ দেড়মাস রাজ্য জুড়ে চলছিল বিধিনিষেধ। পরিস্থিতি সামান্য উন্নতি হতেই গত ১ জুলাই থেকে বিধিনিষেধ খানিক শিথিল করেছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই বেসরকারি বাস-মিনিবাস চালানোর নির্দেশও জারি করা হয়েছে। যদিও সরকার বেসরকারি ভাড়া না বাড়ালে বাস না চালানোর সিধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কাজেই নাজেহাল হচ্ছেন নিত্যযাত্রীরা। এই পরিস্থিতিতে অভিযোগ উঠেছে, নকল ফেয়ার চাট বানিয়ে বেশি ভাড়া নেওয়ার।
সুত্রের খবর অনুযায়ী, সলপ থেকে ব্যারাকপুর কোর্ট হয়ে সিথির মোড় রুটের বেসরকারি বাসে নিজেদের মত ভাড়া বাড়ানো হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। বানানো হয়েছে নকল ফেয়ার চার্টও। ওই ফেয়ার চার্ট অনুযায়ী সর্বনিম্ন ভাড়া রাখা হয়েছে ১২ টাকা। সর্বোচ্চ ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৩২ টাকা। রাস্তায় বেসরকারি বাস- মিনিবাস না থাকার ফলে অগত্যা বেশি ভাড়া দিয়েই গন্তব্যস্থলে পৌঁছচ্ছেন যাত্রীরা। এই গোটা ঘটনার অভিযোগ জানিয়েছেন ওয়েস্টবেঙ্গল বাস ও মিনিবাস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ বোস।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্য সরকারের কাছে ভাড়া বাড়ানোর বিষয়টি জানিয়েছে বাস কর্তৃপক্ষ। তবে, এই বিষয়ে কোনও সিধান্তে নেয়নি রাজ্য সরকার। কাজেই এই বিষয়ে রাজ্য সরকার সিধান্ত না নেওয়া পর্যন্ত বাস না চালানোর সিধান্ত নেওয়া হয়েছে বাস ইউনিয়নগুলির তরফে। এই বিষয়ে জয়েন্ট কাউন্সিল অফ সিন্ডিকেটের সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘লোকাল ট্রেন ও মেট্রো চলাচল করছে না সেখানে বেসরকারি বাস চালানো মানে প্রায় যাত্রীবিহীন ভাবে বাস চালাতে হবে। রাজ্য সরকার বেসরকারি বাসের ভাড়া না বাড়ালে বাস চালানো অসম্ভব। পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম প্রায় ১০০ ছাড়িয়েছে। ফলে বাস রক্ষণা-বেক্ষণে সমস্যা। আমরা চাই রাজ্য সরকার মোটর ভেহিক্যালস আইন পরিবর্তন করে বাস মালিকরা অধিকার দিক। তাঁরা যাতে ভাড়ার বিষয়ে নিজেরাই সিধান্ত নিতে পারেন। অটো চালকরা নিজেদের রুটের ভাড়া নিজেরা ঠিক করতে পারলে বাস মালিকরা পারবে না কেন?’