ম্যাঞ্চেস্টার সিটি–০ অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ–০
(প্রথম লেগে ম্যাঞ্চেস্টার সিটি ১-০ গোলে জিতেছিল। তাই দুই পর্ব মিলিয়ে তারা ১-০ জিতে সেমিফাইনালে)
ঘরের মাঠে ম্যাঞ্চেস্টার সিটির বিরুদ্ধে গোল করতে না পেরে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নিল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। প্রথম লেগে ১-০ জিতে থাকা ম্যাঞ্চেস্টার সিটিই চলে গেল সেমিফাইনালে। এবার তাদের সামনে তেরো বারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাঞ্চেস্টার সিটি এখন পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সেরা হতে পারেনি।
অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ বিখ্যাত তাদের ডিফেন্সিভ ফুটবলের জন্য। ম্যাঞ্চেস্টারের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে তারা ৫-৫-০ ছকে খেলেছিল। যার অর্থ পাঁচজন ডিফেন্ডার এবং পাঁচজন মিডফিল্ডার। ফরোয়ার্ডে কেউ নেই। কিন্তু হোম ম্যাচে তারা যে শুরু থেকেই অ্যাটাকিং ফুটবল খেলবে তা কিন্তু দেখা গেল না। আসলে নেতিবাচক ফুটবল খেলতে খেলতে ফুটবলাররাও মনে হয় অ্যাটাকিং খেলতে ভুলে গেছে। তাই দিয়েগো সোমিওনের অ্যাটলেটিকো ঘরের মাঠে পেপ গুয়েরদিওলার ম্যান সিটিকে হারাতে পারল না। পেপ নিজে স্প্যানিশ। দীর্ঘ দিন খেলেছেন বার্সেলোনায়। সেই টিমের কোচিংও করিয়েছেন। তাই তিনি জানেন অ্যাটলেটিকোর ফুটবল মনস্তত্ব। তিনি খুব ভাল করেই জানতেন কাছা খুলে আক্রমণে আসবে না সিমিওনের দল। তাই নিজেদের ডিফেন্সিভ লাইনকে মজবুত রেখে অ্যাটাকিং ফুটবল খেলার দিকেই নজর দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর অ্যাটাকাররাও প্রায়শই নেমে এসে ডিফেন্ডারদের পাশে দাঁড়িয়েছে।
প্রথমার্দ্ধ এ ভাবেই চলার পর বিরতির পর অ্যাটলেটিকো আক্রমণে ফেরার কথা ভাবে। কিন্তু সিটির ডিফেন্ডাররা তখন অনেকটাই থিতু হয়ে গেছে। তবু ডিফেন্সের ফাঁকফোকড় দিয়ে গোল করার কয়েকটি সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল অ্যাটলেটিকো। কিন্তু গ্রিজম্যানরা সেই সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারেনি। শেষ দিকে দুই দলই সময় নষ্টের খেলায় মেতেছিল। তাই রেফারিকে ১২ মিনিট ইনজুরি টাইম দিতে হয়। এই সময় একটু গা জোয়ারি ফুটবল শুরু হয়। বিপক্ষের উপর অযথা পা চালিয়ে লাল কার্ড দেখতে হয় অ্যাটলেটিকোর ডিফেন্ডার ফিলিপেকে। তখন ম্যাচের ৯১ মিনিট। তবে বিপক্ষকে দশ জনে খেলার সুবিধে নিতে পারেনি ম্যান সিটি। তবে তারা গোলও খায়নি। শেষ পর্যন্ত তাই গত বারের রানার্স ম্যাঞ্চেস্টার সিটি এবারও সেমিফাইনালে চলে গেল। এবার তাদের সামনে রিয়াল মাদ্রিদ। ২৬ এপ্রিল ম্যান সিটি ঘরের মাঠে মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদের। আর ফিরতি সেমিফাইনাল রিয়ালের মাঠে ৪ মে।