হাওড়া: তখন সবে বেলা গড়াচ্ছে। ঘড়ির কাটায় সবে ২ টো ঘর টপকেছে। কুণ্ডলীকৃত কালো ধোঁওয়া দেখেই শুরু হয় দৌড়ঝাঁপ । মুহূর্তে জানা যায় স্থানীয় এক রঙের কারখানায় আগুন লএগেছে। কিছু বোঝার আগেই বাড়তে থাকে আগুনের দাপট। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের ৪ টি ইঞ্জিন। হাওড়ার শালিমারে ওই রঙ কারখানায় আগুনের গতি যেভাবে এগোচ্ছে তাতে দমকলের সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এলাকাটি ঘনবসতি পূর্ণ। স্বাভাবিকভাবেই আগুন লাগার ঘটনায় তৈরি হয় আতঙ্ক। দমকল কর্মীদের কাজ করতে বেশ কিছুটা বেগ পেতে হয়। ঘনবসতি পূর্ণ হওয়ায় প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই রয়েছে গ্যাস সিলিন্ডার। কারখানাতে কাজ চালানোর জন্যও রয়েছে একাধিক সিলিন্ডার। স্বাভাবিকভাবেই সিলিন্ডারে আগুনের ফুল্কি পড়লে আরও বড় বিপর্যয় আসতে পারে এমন আশঙ্কা করেই সিলিন্ডারগুলিকে দ্রুত থেকে দ্রুততার সঙ্গে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হয়।
ঠিক কী কারণে এই অগ্নিকান্ড? তা এখনই কিছু নিশ্চিত করে বলতে পারেনি দমকল। রাসায়নিক মজুত থাকার ফলে আগুন থেকে বড় সড় বিস্ফোরণের আশঙ্কা করছেন দমকল কর্মীরা। দমকল সূত্রের খবর, আগুন নেভানোর কাজ শেষ করার পরই তার কারণ অনুসন্ধানের কাজ শুরু হবে।
আরও পড়ুন Kamarkundu Flyover: রাজ্যের পর ফের রেলের তরফে উদ্বোধন হবে কামাকুণ্ডু ব্রিজ