বেঙ্গালুরু: তথ্য প্রমাণ দেখাতে না পারায় নকশাল (Naxal) মামলায় মুক্তি (Freed) পেলেন এক যুবক৷ তাঁর বাবাকেও মুক্তি দিয়েছে আদালত (Court)৷ কর্নাটকের দক্ষিণ কন্নড় জেলার কুদ্রেমুখ জাতীয় উদ্যানের সীমান্তবর্তী এলাকার প্রত্যন্ত আদিবাসী (Tribal) গ্রাম কুথলুরুতে তাঁর বাড়ি৷ বর্তমানে তিনি এক শীর্ষ স্থানীয় এক কন্নড় দৈনিকের সাংবদিক৷
ভিট্টালা মালেকুদিয়া (৩২)৷ দশ বছর আগে ২০১২ সালে ২৩ বছর আগে তাঁকে ও তাঁকে লিঙ্গাপ্পা মালেকুদিয়াকে নকশলা যোগের অভিযোগে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ সেই মামলায় সম্প্রতি দু’জনকেই মুক্তি দিয়েছে জেলা আদালত৷ কারণ, পুলিশ নকশাল যোগের সঠিক তথ্য প্রমাণ দেখাতে পারিনি৷ গ্রেফতারের সময় ‘দৈনন্দিন জীবিকার জন্য প্রয়োজনীয়’ সংক্রান্ত আর্টিকেল পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছিল৷ ভিট্টালার ঘর থেকে ভগৎ সিংয়ের উপর লেখা একটি বইও পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছিল৷ একই সঙ্গে মৌলিক সুযোগ-সুবিধা না পাওয়া পর্যন্ত তাঁর গ্রাম নির্বাচন বয়কট করার চিঠি ও সংবাদ পত্রের কাটিং বাজেয়াপ্ত করা হয়৷ যদিও আদালত জানিয়েছে, ভগৎ সিং উপর বই ও ওই সংক্রান্ত লেখা সংবাদ পত্রের কাটিং রাখা কোনও ভাবেই বেআইনি নয়৷ আইনে এ সব পড়া নিষিদ্ধ নয়৷’
আরও পড়ুন-নওয়াজউদ্দিন এ বার নকশাল নেতা চারু মজুমদার
২০১২ সালের মার্চে কুদ্রেমুখ বনাঞ্চলে নকশাল’দেরল সাহায্য করার অভিযোগ ওঠে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে৷ সেই ঘটনায় ৩ মার্চ বাবা-ছেলেকে গ্রেফতার করে অপরাধ মূলক ষড়যন্ত্র ও বেআইনি কার্যকালাপের অভিযোগ আনা হয়েছিল। একই সঙ্গে বিক্রম গৌড়া, প্রদীপ, জন, প্রভা, ও সুন্দরীর নকশাল সংযোগে অভিযোগ আনা হয়৷ যদিও তাঁদের গ্রেফতার করা হয়নি৷ বিচারে আগেই তাঁরা আন্ডার গ্রাউন্ড বলে বাবা-ছেলেকে এই মামলায় আলাদা করা হয় ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে৷ তারপর থেকেই বাবা-ছেলের সংগ্রাম চলতে থাকে৷
আরও পড়ুন-সাত গ্রামবাসীকে তুলে নিয়ে গেল নকশাল বাহিনী
বেকসুর মামলায় মুক্তির পরে বাবা-ছেলে দু’জনেই খুব খুশি বলে জানান৷ তাঁরা বলেন, ‘ আমরা এই মুক্তির জন্য টানা নয় বছর সংগ্রাম চালিয়ে গেছি৷ আমাদের নকশাল বলে ফাঁসানো হয়েছিল৷ যদিও অভিযোগের সপক্ষে আমাদের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ ছিল না৷ আদালত আমাদের নির্দোষ করেছে৷’