বনগাঁ: যুবতীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁর পেট্রাপোল থানার খলিদপুর এলাকায়। শনিবার গভীর রাতে নির্যাতিতাকে আমবাগানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের পর অচৈতন্য অবস্থায় রাস্তার ধার ফেলে যায়৷ পরে রক্তাক্ত অবস্থায় নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে বনগাঁ মহাকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-দেশভাগের স্মরণে ‘বিভাজন বিভিষীকা স্মৃতি দিবস’ পালন করবে মোদি সরকার
পুলিশ জানিয়েছেন, নির্যাতিতার বাড়ি বনগাঁ শহরের আট নম্বর ওয়ার্ডের চাঁপাবেড়িয়া এলাকায়৷ সে শুক্রবার সন্ধেয় আত্মীয় বাড়ি যাবে বলে বাড়ি থেকে বের হয়। পরিবারের অভিযোগ, বনগাঁ থানার সামনে থেকে এক ইঞ্জিন ভ্যান চালকের সঙ্গে তার দেখা হয়। ওই ভ্যানচালক তাকে বাড়ি পৌঁছে দেবে বলে ভ্যানে তোলে। কিন্তু, বাড়ি পৌঁছে না দিয়ে পেট্রাপোল থানার খলিদপুর এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানকার জঙ্গলে তাকে ধর্ষণ করে ফেলে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার পাশে বসে যুবতীকে কাঁদতে দেখে স্থানীয়রা৷ তাকে উদ্ধার করে পেট্টাপোল থানায় খবর দেয়। পুলিশ এসে তাকে বনগাঁ মহাকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন৷
আরও পড়ুন-সৌরভের দাদা স্নেহাশিস এখন স্থিতিশীল
খবর পেয়ে এদিন সকালে যুবতীর বাড়িতে যান স্থানীয়, তৃণমূল, বিজেপি ও সিপিএম নেতাকর্মীরা। বিজেপি নেতৃত্ব পুলিশের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেন৷ বনগাঁ শহরের আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা। সিপিএমের তরফে দোষীদের গ্রেপ্তার না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে৷ তৃণমূলের তরফে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে৷