কলকাতা: হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি জলপাইগুড়ির নির্দল প্রার্থী মলয় বন্দ্যোপাধ্যায় (Rebel TMC Leader Malay Banerjee)৷ এতেই আদালতের তোপের মুখে পড়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission)৷ ক্ষুব্ধ বিচারপতি রবিকিষাণ কাপুরের প্রশ্ন, রাজ্যে নির্বাচন নিয়ে চলছেটা কী?
জলপাইগুড়ির ১ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মলয় বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বুধবার ছিল রাজ্যের ১০৮টি পুরসভার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন৷ তার আগের দিন মঙ্গলবার তিনি মহকুমাশাসকের অফিসে যান মনোনয়ন জমা দিতে৷ অভিযোগ, পুলিসের বাধায় তিনি মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি৷ বুধবার মনোনয়ন জমা দিতে গেলে পুলিস আবারও তাকে আটকে দেয় এবং গ্রেফতার করে৷ প্রশ্ন ওঠে, পুলিস কেন তাঁকে মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেয়? ক্ষুব্ধ মলয়বাবু আদালতের মাধ্যমে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন৷ মঙ্গলবার তিনি একটি ই-ফাইলও করেন৷
সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ৯ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় ২ জনকে নিয়ে মনোনয়ন দাখিল করতে পারবে নির্দল প্রার্থী মলয় বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কিন্তু ওই দিনই মনোনয়ন জমা দিতে গেলে পুলিস তাঁকে গ্রেফতার করে৷ মলয়বাবুর অভিযোগ, পুলিস তাঁকে চ্যাংদোলা করে নিয়ে যায়৷ কিন্তু থানায় নিয়ে যাওয়ার নাম করে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাতে থাকে৷ পরে পুলিসের ভ্যান থেকে মলয়কে ছিনিয়ে নিয়ে চলে যান তাঁর অনুগামীরা৷
আরও পড়ুন: IPAC: মমতা-প্রশান্ত কেউ কাউকেই টুইটে ফলো করেন না, আগে করতেন? আইপ্যাক বিতর্কে নয়া ইন্ধন
এদিকে আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও তিনি মনোনয়ন জমা দিতে না পারায় বিচারপতি রবিকিষান কাপুরের ভর্ৎসনার মুখে পড়েন রিটার্নিং অফিসার৷ তিনি বলেন, ‘রাজ্যে নির্বাচন নিয়ে চলছেটা কী? কেন জলপাইগুড়ি ১ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল হল না? রাজ্য আর রাজ্য নির্বাচন কমিশন একে অপরের দিকে আঙ্গুল তুলছে৷ বাম হাত ডান হাতকে দেখাচ্ছে৷ আর ডান হাত বাম হাতকে দেখাচ্ছে৷’ এরপরই তিনি জলপাইগুড়ি পুরসভার রিটার্নিং অফিসার এবং মহকুমা শাসককে তলব করেন৷ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় তাঁদের তলব করেন বিচারপতি৷