মালদহ : রাজ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউ এখনও আসেনি। তার আগেই শিশুরা মাল্টি সিস্টেম ইনফ্লামেটরি সিনড্রোমে আক্রান্ত হচ্ছে। এই ঘটনা ভাবাচ্ছে মালদহ মেডিক্যাল হাসপাতালের চিকিৎসকদের। এই মুহূর্তে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২০জন শিশু এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন : কড়া নাড়ছে তৃতীয় ঢেউ, পুর বৈঠকে শিশুস্বাস্থ্যে গুরুত্ব ফিরহাদের
চিকিৎসকরা মনে করছেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়েই বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে মালদহ মেডিক্যালে ভর্তি হচ্ছে শিশুরা। পরিবারের অন্যদের করোনা সংক্রমণ পরবর্তীতে শিশুদের ওপর প্রভাব ফেলছে। জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, এমনকি সারা শরীরে লাল দাগ, বমি, আমাশা, ইত্যাদি উপসর্গও দেখা যাচ্ছে শিশুদের মধ্যে। চিকিৎসকরা বলছেন, এসব উপসর্গ মাল্টি সিস্টেম ইনফ্লামেটরি সিনড্রোমের লক্ষণ। তবে এর সঙ্গে করোনার সরাসরি কোনও সম্পর্ক নেই।
আরও পড়ুন : তৃতীয় ঢেউয়ের আগেই গর্ভবতী মহিলাদের ভ্যাকসিন
মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শিশু বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান সুষমা সাহু জানান, এই মুহূর্তে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২০টি শিশু mis-c-এ আক্রান্ত হয়ে শিশু বিভাগে ভর্তি রয়েছেন। মার্চ, এপ্রিল ও মে , এই ৩ মাসে বাচ্চাদের বাবা-মা কিংবা বাড়ির লোকজন কেউ কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেই সময়ে অনেক বাচ্চা তাঁদের সান্নিধ্যে এসেছিল। কিন্তু বাচ্চাদের মধ্যে সেই সময় করোনার কোন উপসর্গ ধরা পড়েনি। উপসর্গ না থাকায় তাদের করোনা পরীক্ষা করা হয়নি। কিন্তু এখন সেই বাচ্চাদের মধ্যে জ্বর, চোখ লাল হওয়া , ঠোট লাল হওয়া ,গায়ে রাস তৈরি হওয়ার মতো কিছু উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। এই উপসর্গগুলি বাচ্চাদের মধ্যে দেখা দিলেই তারা যাতে চিকিৎসকদের পরামর্শ নেন সেই বিষয়েও পরামর্শ দিচ্ছেন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের চিকিৎসক সুষমা সাহু।তিনি বলেন, ”এমন উপসর্গ থাকলেই বাচ্চাদের করোনা হয়েছে তা বলা যাবেনা। এটা করোনা পরবর্তী ক্লিনিক্যাল সিনড্রোম। এটা দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব। ভাবা হচ্ছিল, করোনার তৃতীয় ঢেউ বাচ্চাদেরই বেশি আক্রমণ করবে। তার জন্য সকলে প্রস্তুত ছিল, যেহেতু বাচ্চাদের এখনও ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি। তাই তারাই বেশি আক্রান্ত হতে পারে বলে অনুমান করা হয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বাচ্চাদের মধ্যে করোনার ঢেউ আছড়ে পড়েছে বলে আমরা দেখতে পাচ্ছি না। তবে মাল্টি সিস্টেম ইনফ্লেমেটরি সিনড্রোমে এখন বাচ্চারা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। গত একমাস ধরে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে আমরা এরকম ধরণের উপসর্গ যুক্ত বাচ্চা বেশি করে পাচ্ছি। তবে আমরা তার চিকিৎসা শুরু করেছি।”