হাওড়া: ডোমজুড়ে দুষ্কৃতী খুন-কাণ্ডে ধৃত দু’জনের পুলিস হেফাজত নির্দেশ দিল আদালত। আজ, সোমবার ধৃত শীর্ষেন্দু সরকার ওরফে পিকু এবং পূর্বাশা মাঝিকে হাওড়া আদালতে তোলা হয়। বিচারক দু’জনের ৪ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। শীর্ষেন্দু ও পূর্বাশার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন সহ বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। এই ঘটনায় আরও কয়েকজনের নাম পাওয়া গিয়েছে। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস।
তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে, তাপস গলুইয়ের ছেলের সঙ্গে সলপের বাসিন্দা পূর্বাশা অবৈধ সম্পর্কে জড়িত ছিল। সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিলেন পূর্বাশা। কিন্তু সেখানে বাদ সাধে কুখ্যাত দুষ্কৃতী তাপসের ছেলে ছটু গলুই। পূ্র্বাশাকে বারবার হুমকি দেওয়া হয়, তাঁর অন্তরঙ্গ ছবি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়া হবে। ওই গৃহবধূর অভিযোগ, ছেলেকে সবসময় সাহায্য করত তাপস গলুই। ছেলের সঙ্গে বাবাও একাধিকবার ছবি ভাইরাল করার হুমকি দিয়েছে তাঁকে।
সেই ঘটনায় রাগে ক্ষোভে তাপস গলুইকে খুন করার জন্য সুপারি দেয় পূর্বাশা। তাঁর পরিচিত দুই সুপারি কিলার পিকু ও আলুকে সুপারি দেয় সে। পূর্বাশার নির্দেশ মতোই রবিবার সকালে বাজার থেকে বেরিয়ে আসার সময় তাপস গলুইকে খুন করে তাঁরা। গতকাল রাতেই সুপারি কিলার পিকুকে গ্রেফতার করে পুলিস। মূল শুটার আলুর খোঁজ চালানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Andal TMC: মাসিক ২০ হাজার টাকা তোলা, তৃণমূল নেতার ‘ফতোয়া’য় কাজ বন্ধ কয়লাখনির
তাপস গলুই নামে মৃত ওই ব্যক্তি বহু সমাজবিরোধী কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল। নিজের এলাকায় কুখ্যাত দুষ্কৃতী নামে পরিচিত ছিল সে। মৃতের বিরুদ্ধে খুন ও তোলাবাজির একাধিক অভিযোগ ছিল। মাসখানেক আগে জেল থেকে ছাড়া পায় তাপস গলুই ওরফে কাক তাপস নামে ওই দুষ্কৃতী।
রবিবার সকাল ৮টা নাগাদ স্কুটি নিয়ে বাজারে গিয়েছিল তাপস। অভিযোগ, স্কুটি নিয়ে মেন রাস্তায় উঠতেই গুলি চলে। মাকড়দহ স্টেট ব্যাঙ্কের ঠিক সামনে কাক তাপসকে লক্ষ্য করে ৫ রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। একটি বুলেট মাথায় লাগে। বাকি চারটি শরীর ভেদ করে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।