মগরাহাট: মগরাহাট জোড়া খুন কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত জানে আলম মোল্লাকে ১৪ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিল ডায়মন্ড হারবার এসিজেএম (ACJM) আদালত। অভিযুক্তকে সোমবার পুলিসি হেফাজতে চেয়ে ডায়মন্ড হারবার এসিজেএম আদালতে পেশ করা হয়।ধৃতের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪, ৩০২,২৫/২৭ আর্মস অ্যাক্ট মামলা রুজু করেছে মগরাহাট থানার পুলিস (Magrahat Murder)।
তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে ,জোড়া খুনের পর দেহ টুকরো টুকরো করে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছিল অভিযুক্ত।খুনের ঘটনার পর থেকেই ফেরার ছিল জানে আলম। মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে রবিবার তাঁকে গ্রেফতার করে চারু মার্কেট থানার পুলিস।বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে অভিযুক্তের গাড়ি।এর পর তাঁকে মগরাহাট থানার পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। প্রাথমিক জেরার পর পুলিস জানতে পারে, শনিবার রাতে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের পার্কিং এরিয়ায় লুকিয়ে ছিল জানে আলম। নিজেই ওই গাড়িটি চালাচ্ছিল সে। সারারাত ধরে রীতিমতো লুকোচুরি খেলছিল আলম।
বেশ কিছুদিন আগে ইমারতি সামগ্রী কেনার জন্য স্থানীয় ব্যবসায়ী জানে আলম মোল্লাকে টাকা দিয়েছিলেন মলয় মাখাল। মোট ৮০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন মলয়। অভিযোগ, এরপর দীর্ঘদিন কেটে গেলেও ইমারতি দ্রব্য মেলেনি। টাকা চাইলেও ফেরত দেয়নি জানে আলম মোল্লা। শনিবার টাকা ফেরত দেবে বলে মলয়কে নিজের সার কারখানায় ডেকে পাঠায় জানে আলম মোল্লা। মলয়ের সঙ্গে ছিলেন তাঁর বন্ধু সিভিক ভলান্টিয়ার বরুণ চক্রবর্তীও। বরুণ ও মলয় আসতেই প্রথমে গুলি ও তারপর গলার নলি কেটে কারখানার মধ্যে তাঁদের খুন করা হয়।
পুলিস জানায়, খুনের পরই গা ঢাকা দিয়েছিল আলম। তবে শেষরক্ষা হয়নি। একদিনের মধ্যেই গ্রেফতার হয় জানে আলম মোল্লা।শুধু ডায়মন্ড হারবার নয়, কলকাতাতেও ভুয়ো ব্যবসার ফাঁদ পেতেছিল আলম। পুলিসের কাছে অভিযোগ এসেছে, অনলাইনে পণ্যসামগ্রী বিক্রি করার ভুয়ো ব্যবসা ফেঁদে অনেকের থেকে টাকাও নিয়েছিল সে। অভিযোগকারী জানায়, পণ্য সামগ্রী বিক্রির জন্য ৩০ হাজার টাকা নিয়েছিল আলম। কিন্তু আজ অবধি কিছুই বিক্রি করেনি।
আরও পড়ুন Giyasuddin Aliah University: গিয়াসউদ্দিনকে ফের তোলা হল বারাসত আদালতে