কুলতলি: রক্ষকই ভক্ষক! মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি নিয়ে দুই শিশুকে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ উঠল খোদ পুলিশকর্মীর (Police) বিরুদ্ধে। ঘটনায় গুরুতর জখম হয় দুই শিশু বুলবুল মাইতি(৭) এবং সুপর্ণা নাইয়া(১৪)। তাদের উদ্ধার করে প্রথমে জামতলা হাসপাতালে (Hospital) নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ওই দুই শিশুকে কলকাতার একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বর্তমানে দুজনেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে কুলতলি (Kultali) থানার কালীতলা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, কৈখালির দিক থেকে প্রচণ্ড গতিতে একটি গাড়ি আসছিল। সেসময়ে এলাকার দুই শিশু দোকানে খাবার কিনতে যাচ্ছিল। অভিযোগ, আচমকাই গাড়িটি পিছন থেকে এসে সজোরে ধাক্কা মারে তাদের। রাস্তার ধারে ছিটকে পড়ে ওই দুই শিশু। রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের উদ্ধার করে জামতলা হাসপাতাল নিয়ে যান। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, ওই গাড়িতে পুলিশের (Polie) স্টিকার লাগানো ছিল। দুর্ঘটনার পর গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়ে নিজেদের প্রথমে কুলতলি থানার পুলিশ কর্মী বলে পরিচয় দেন। এরপরই উত্তেজিত জনতা গাড়িটি আটকে রাখে। পরে কুলতলি থানার পুলিশ গিয়ে গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করে এবং গাড়ির ভেতরে থাকা দুজনকে উদ্ধার করে আনেন।
আরও পড়ুন:Calcutta High Court: আব্দুল রহমানের মৃত্যুর তদন্তের চার্জশিটে রয়েছে তাঁরই নাম !
দেবাশিস মণ্ডল নামে এক ব্যক্তির অভিযোগ, গাড়ির চালকের আসনে বসে থাকা ব্যক্তি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। তিনি নিজেকে পুলিশ বলে পরিচয় দেন। পরিবারের সূত্রে জানা গিয়েছে, বুলবুল এবং সুপর্না দোকানে খাবার কিনতে যাচ্ছিল। সেইসময় পিছন দিক থেকে বেসামাল অবস্থায় এসে গাড়ি ধাক্কা মারে তাদের।
পুলিশ সূত্রে খবর, WB 02 AE 9631 একটি মারুতি গাড়ি দুই শিশুকে ধাক্কা মারে। গাড়ির মালিক পার্ক সার্কাস থানার ট্র্যাফিক পুলিশে (Traffic Police) কর্মরত। অভিযুক্তের নাম প্রশান্ত দে। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমানে কুলতলি থানায় রয়েছেন তিনি। এই বিষয়ে, বারুইপুরের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস জানান, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং সোমবার বারুইপুর আদালতে পেশ করা হবে। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে।