নদিয়া: তেরো বছর ধরে সম্পর্ক। এক হোটেল ব্যবসায়ীর সঙ্গে। বিয়ের সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন। মায়ের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি ছেলে। মায়ের প্রেমিককে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সে। সেই মতোই প্রৌঢ়কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠল নদিয়ায়।
শান্তিপুরের বাইগাছি পাড়ার বাসিন্দা কল্যাণ গুহ। বাকি দিনের মতোই হোটেল থেকে মোটরসাইকেল করে বাড়িতে ফিরছিলেন। রাস্তার মধ্যেই এলাকার বাসিন্দা সায়ন্তন সাহা নামে এক যুবক হঠাৎ তাঁকে ধারালো দা দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। এরপর ওই এলাকা থেকে পালিয়ে যায় ওই যুবক। রক্তাক্ত অবস্থায় কল্যাণ গুহকে শান্তিপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর মাথায় এবং হাতে মিলিয়ে মোট ১৮টি সেলাই পড়েছে।
এ ঘটনায় কল্যাণ গুহ’র স্ত্রী তুলি গুহ জানান, পাড়ার মিঠু সাহা নামে এক মহিলার সঙ্গে ১৩ বছর ধরে বিবাহ বহির্ভূত রয়েছে তাঁর স্বামীর। কিছুদিন আগে ওই মহিলার স্বামীর মৃত্যুর পরে আরও কাছাকাছি আসেন তাঁরা। এমনকি বিয়ের সিদ্ধান্তও নেয়। তাঁর ধারণা, মায়ের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অপমানে এবং মায়ের বিয়ে আটকাতে ওই যুবক কল্যাণ গুহকে কোপ মারে।
আরও পড়ুন- Bankura Fire: ব্যাটারি চালিত স্কুটি থেকে আগুন, গ্রিল ভেঙে উদ্ধার করলেন প্রতিবেশীরা
তাঁর আরও দাবি, নিজের দুই সন্তানের মত অভিযুক্ত সায়ন্তনকে পথে-ঘাটে অপমানিত হয় এই সম্পর্কের জন্য। তবে, তিনি সায়ন্তনের শাস্তিও দাবি করেছেন। এ বিষয়ে অভিযুক্তের মা মিঠু সাহা বলেন, ‘ছেলে যা করেছে তার নিশ্চয়ই শাস্তি হবে’। তবে, কল্যাণ বাবুর সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে প্রশ্ন উঠলে তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনা এখন সর্বত্রই হচ্ছে।