নদিয়া: কালীগঞ্জ থানার দেবগ্রামে তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় গ্রেফতার পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য মইনুদ্দিন শেখ। তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় ওই এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিস নিয়ে গিয়েছিল। পরে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিস। মৃত তৈয়ব আলি শেখের পরিবারের দাবি, তৈয়ব তৃণমূলের কর্মী ছিলেন। মৃতের ছেলের অভিযোগ, এলাকারই পঞ্চায়েত সদস্যর দিকে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইফতার সেরে বাজারে গিয়েছিলেন তৈয়ব। রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ বাইকে করে ফিরছিলেন তিনি এবং তাঁর এক বন্ধু। সেই সময় দুষ্কৃতীরা বাইকটিতে বোমা মারে। বাইক থেকে পড়ে গেলে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। তাতেই মৃত্যু ওই তৃণমূল সমর্থকের। কালীগঞ্জ থানার পুলিস জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর মৃত্যু হয় তৃণমূল কর্মী তৈয়বের। অপরজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। প্রথমে অভিযোগ ওঠে ওই এলাকার সিপিএম কর্মীদের বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে সিপিএম। খুনের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
পুলিস জানায়, মৃত তৃণমূল কর্মীর নাম তৈয়ব আলি (৪৬)। আহত তৃণমূল কর্মী মনিরুল হক। বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি ফেরার সময় তাঁদের উপর হামলা করা হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয়রা বোমার আওয়াজ শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান প্রায় অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন দুজন। দ্রুত তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাসপাতালের চিকিৎসক জানান, প্রাথমিকভাবে দেখে মনে হচ্ছে, আহত মনিরুলের বুকে বোমা ফাটানোর চিহ্ন রয়েছে। শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো কোনও অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছ। মৃত তৃণমূল কর্মী তৈয়ব আলির শরীরের একাধিক জায়গায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর চিহ্ন ছিল। তাঁর মেরুদণ্ড অর্ধেক ভেঙে গিয়েছিল। কাঁধের একদিক ভেঙে গিয়েছিল। তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।