মেদিনীপুর: জটিল অস্ত্রোপচার করে নজির গড়ল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতাল৷ ওই অস্ত্রোপচারের জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী হাসপাতালে ছিল না৷ কলকাতা থেকে সেগুলির আনানোর ব্যবস্থা করা হয়৷ তারপর সাড়ে চারঘণ্টার চেষ্টায় সফল হয় জটিল অস্ত্রোপচার৷ প্রাণ ফিরে পেলেন মহিলা৷
দিন ১৫ আগে মোটর সাইকেল থেকে পড়ে গুরুতর জখম হন সরস্বতী জানা৷ প্রথমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় চণ্ডিপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে৷ সেখান থেকে রেফার করা হয় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালে৷ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায়, ওই মহিলার পিউবিক বোন এবং কোমরের কাছে হিপ জয়েন্ট ভেঙে গিয়েছে৷ অস্ত্রোপচার ছাড়া আর উপায় নেই৷ কিন্তু এই ধরনের জটিল অস্ত্রোপচারের জন্য যে ধরনের চিকিৎসা সামগ্রীর প্রয়োজন তা জেলা হাসপাতালে অপ্রতুল৷ আলোচনার পর চিকিৎসকরা ঠিক করেন কলকাতা থেকে সেগুলি আনা হবে৷
এরপর বুধবার প্রায় সাড়ে চারঘণ্টার চেষ্টায় সফল হয় অস্ত্রোপচার৷ জেলা হাসপাতালের অর্থোপেডিক সার্জেন শিবশঙ্কর দে জটিল অস্ত্রোপচারটি করেন৷ তাঁকে সাহায্য করেন তমলুক জেলা হাসপাতালের সুপার ভাস্কর বৈষ্ণব, ডেপুটি সুপার দিলীপ গিরি গোস্বামী এবং অ্যানাসথেটিস্ট গণেশ বর্মন৷ চিকিৎসক শিবশঙ্কর দে জানান, সরস্বতী জানার কোমর থেকে তলপেটের নীচের অংশে মোট তিন জায়গায় হাড় ভেঙে গিয়েছিল৷ অস্ত্রোপচারের পর রোগী অনেকটাই সুস্থ৷ আগামী দিন চারেকের মধ্যেই চলাফেরা করতে পারবে৷
আরও পড়ুন: Diamond Harbour: ডায়মন্ড হারবারের হোটেলে উদ্ধার অচৈতন্য কিশোরী ও ঠাকুমা, হাসপাতালে মৃত্যু নাতনির
সরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচায় খুশি রোগীর আত্মীয় পরিজনরা চিকিৎসককে ধন্যবাদ জানিয়েছে মহিলার পরিবার৷ তাঁরা জানিয়েছেন, বেসরকারি হাসপাতালে এই অস্ত্রোপচার করতে খরচ অনেক৷ পরিবারটি দরিদ্র৷ তাই ডাক্তারবাবুকে অনেক অনুরোধ করা হয়৷ তিনি অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন৷