পূর্ব বর্ধমান: ক্যালেন্ডারে আশ্বিন মাস আসতে আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকদিন বাকি। নীল আকাশ আর মাঠে-ঘাটে ফুটে থাকা সাদা কাশ জানান দিচ্ছে বাঙালির প্রিয় দুর্গোৎসব আসছে। কিন্তু কিছু মানুষের জন্য এই কাশ ফুল অর্থ উপার্জনের একমাত্র উপায়।
আরও পড়ুন : ‘শিরে-করোনা’, গাইড লাইন নিয়ে বৈঠকে ফোরাম ফর দুর্গোৎসব কমিটির
আশ্বিন মাসের দুর্গা পুজোর সঙ্গে কাশফুলের সঙ্গে বাঙালির চিরকালীন এক রোমান্টিসিজম জড়িয়ে আছে। কিন্তু এই কাশ ফুলই গ্রামবাংলার প্রান্তিক মানুষের কাছে রুজি রোজগারের একটি মাধ্যম। পুজোর মরসুমে মাঠে-ঘাটে কাশ ফুল ফুটলে কাশের শক্ত কাঠি সংগ্রহ করেন পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন এলাকার মানুষজন। সেই কাঠি লোকমুখে কুচি কাঠি নামে পরিচিত। নিজেদের সাংসারিক প্রয়োজনে কুচি থেকে যেমন ঝাঁটা তৈরি হয়, তেমনই মুড়ি ভাজার কাঠি হিসেবেও ব্যবহৃত হয় কুচি কাঠি। পূর্ব বর্ধমানের বেলকাশ, গলসি, দেওয়ানদীঘি, বলগোনা, মির্জাপুর সহ বিভিন্ন গ্রামের আদিবাসী প্রান্তিক মহিলারা কাশফুলের কান্ড থেকে কুচি কাঠি সংগ্রহ করেন মূলত। করোনার বিধি নিষেধের মধ্যে যখন বহু মানুষের রোজগার নেই, এই অবস্থায় কাশফুলের কুচি কাঠি সংগ্রহ করে সামান্য দু’পয়সা উপার্জন করেন আদিবাসী মহিলারা। এই কাঠি সংগ্রহ করে সেগুলো বিভিন্ন আড়তদারের কাছে বিক্রি করে দেন তাঁরা। সেই কুচি কাঠি দিয়ে নানা শিল্পকর্ম তৈরি হয়। যা শোভা পায় ড্রইং রুমে। পুজোর মরসুমে আদিগন্ত সাদা কাশফুল দেখে আমরা যখন রোমান্টিকতায় ডুবে যাই, তখন এই কাশ ফুলের কুচি কাঠিই হয়ে ওঠে কিছু মানুষের উপার্জনের মাধ্যম।