বিশ্বভারতীর উপাচার্য জরুরী ভিত্তিতে দিল্লি যাওয়াকে কেন্দ্র করে ফের জল্পনা শুরু হয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। সূত্র মারফৎ জানা গেছে, শোকজ করা হয়েছে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে। সে কারণেই কী এই দিল্লি সফর ? ৯ অগস্ট থেকে ১৩ অগস্ট পর্যন্ত তিনি শান্তিনিকেতনের বাইরে থাকছেন। এই ৫ দিন বিশ্বভারতীর উপাচার্য হিসাবে চার্জ দিয়ে যাওয়া হয়েছে শিক্ষা ভবনের অধ্যক্ষ তারাপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়কে। বিশ্বভারতীর নিজস্ব ওয়েবসাইটে উপাচার্যর শান্তিনিকেতন থেকে বাইরে যাওয়ার বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে।
আরও পড়ুন : বেতন নেই বিশ্বভারতীতে
সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিশ্বভারতীর উপাচার্য অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিশ্বভারতীর উপাচার্য পদে বসার পর থেকে একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছেন। বিভিন্ন রকম ভাবে অনৈতিক ক্রিয়াকর্ম বেশ কয়েক বছর ধরে চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। বিশ্বভারতীর পড়ুয়া থেকে অধ্যাপক, কর্মী, আধিকারিক, যেই হোক না কেন, উপাচার্যের বিরুদ্ধে মুখ খুললে তাঁদের শাস্তি দিচ্ছেন উপাচার্য। বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী, অধ্যাপক কর্মী, তাঁদের কাউকে সাসপেন্ড, আবার কাউকে শোকজ করেছেন উপাচার্য। এহেন পাহাড়প্রমাণ অভিযোগের ভিত্তিতে বিশ্বভারতীর আচার্য তথা দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাষ্ট্রপতি রাজনাথ কোবিন্দ এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রীকে অভিযোগ জানান বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রী, অধ্যাপক এবং কর্মীরা। বিশ্বভারতীর একটি সূত্র দাবি করছে, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে শোকজ করা হয়েছে। এই কারণেই তাঁকে তড়িঘড়ি দিল্লি ছুটতে হয়েছে। পাশাপাশি সেই সূত্রের খবর, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে সত্য অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হচ্ছে। এই কমিটি উপাচার্যের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রীর দফতরে রিপোর্ট জমা দেবেন। খুব স্বাভাবিক ভাবেই উপাচার্যর এই দিল্লি যাওয়ায় আবারও নতুন করে শোরগোল পড়েছে শান্তিনিকেতনে।