কালনা: ফেসবুক থেকে আলাপ৷ তারপর প্রেম করে বিয়ে৷ অভিযোগ, বিয়ের কয়েকমাস পর থেকেই গায়ের রং নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে শুরু হয় অত্যাচার৷ সোমবার রাতে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় গৃহবধূর দেহ৷ মেয়েটির পরিবারের অভিযোগ, আত্মহত্যায় প্ররোচনায় দেওয়া হয়েছে৷ এই ঘটনায় পূর্বস্থলী থানার পুলিস স্বামী এবং শ্বশুরকে গ্রেফতার করেছে৷ মঙ্গলবার ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ পাঠানো হয় কালনা মহকুমা হাসপাতালে৷
পুলিস জানিয়েছে, মৃতার নাম সরোজিনী ঘোষ মণ্ডল৷ তিন বছর আগে পূর্বস্থলীর মাজিদা পঞ্চায়েতের বড় ধামাস এলাকায় বিয়ে হয়৷ সরোজিনীর পরিবার জানিয়েছে, ছেলের সঙ্গে ফেসবুকে আলাপ৷ তারপর ওরা পালিয়ে বিয়ে করে৷ কিন্তু মেয়ের গায়ের রং কালো সেটা ফেসবুকে ছবি দেখে বোঝেনি ছেলে৷ তাই বিয়ের পর থেকেই গায়ের রং নিয়ে খোটা দিতে থাকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন৷ এমনকী ছেলের অন্য জায়গায় বিয়ে দেওয়ার কথাও চিন্তাভাবনা করে৷
মৃতার পিসির অভিযোগ, ওরা শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করত৷ ঠিক মতো খেতে দিত না৷ চুলের মুঠি ধরে মারধর করত৷ গায়ের রং কালো বলে এরকম অত্যাচার করত৷ তাছাড়া ছেলেটির চরিত্রও ভালো নয়৷ অন্য জায়গাতেও সম্পর্ক ছিল৷ সোমবার রাতে সরোজিনীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের খবর পেয়েই থানায় অভিযোগ জানায় মেয়ের পরিবার৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পূর্বস্থলী থানার পুলিশ স্বামী দেবাঘ ঘোষ ও শ্বশুর বাবলু ঘোষকে গ্রেফতার করেছে৷ মঙ্গলবার তাদের কালনা আদালতে পেশ করা হয়৷