বাগুইআটি: বাগুইআটি কাণ্ডে এবার এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় থেকে এক যুবককে আটক করল সিআইডি। সিআইডি সূত্রে খবর, ওই যুবকের নাম রবিউল মোল্লা। তিনি ভাঙড়ের পোলেরহাটের বাসিন্দা। ইতিমধ্যে তাঁকে ভাঙড় থানায় জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই রবিউলের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। তবে এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরি এখনও অধরা।
বৃহস্পতিবার চার সদস্যের সিআইডি টিম এসে পৌঁছয় বাগুইআটি থানায়। পাশাপাশি অতনু দে এবং অভিষেক নস্করকে যে গাড়িতে খুন করা হয়েছিল তা পরীক্ষা করে দেখেন। বসিরহাটের হাড়োয়া ও ন্যাজাটে যেখানে দুই কিশোরের দেহ উদ্ধার হয় সেখানে যায় সিআইডি ও ফরেন্সিকের টিম। ঘটনাস্থল থেকে মাটি সংগ্রহ করে। এলাকায় দড়ি দিয়ে চিহ্নিত করে ফরেনসিক কর্তারা নিজেরদের ক্যামেরায় ছবি তুলে নেন। পাশাপাশি সত্যেন্দ্র অতুন ও অভিষেককে নিয়ে যে বাইকের শোরুমে গিয়েছিল, সেখানেও যান সিআইডি কর্তারা।
আরও পড়ুন: Baguiati: বাগুইআটি কাণ্ডে গাড়ির ফরেনসিক পরীক্ষা আজ, এল সিআইডি দল
দুই কিশোর খুনে বাগুইআটি থানার আইসি এবং আইও-কে গতকালই সাসপেন্ড করা হয়েছে। বাগুইআটিতে কিশোর খুনের ঘটনায় প্রথম থেকেই তদন্তে পুলিশি গাফিলতির অভিযোগ এনেছিল মৃতদের পরিবার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই গাফিলতি নিয়ে বুধবার অসন্তোষ প্রকাশ করেন। পুলিশি গাফিলতি নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি ইতিমধ্যে পথে নেমেছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে পুলিশের গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির মহিলা মোর্চা। ঘেরাও করা হয় বাগুইআটি থানা। কংগ্রেস এবং সিপিএমও আন্দোলন শুরু করেছে। কিছুটা চাপে পড়েই বাগুইআটি থানার আইসি এবং আইওকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছে, বিধাননগরের পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধেই বা কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।