কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: বাংলার বিশ্ববিদ্যালয়ে বেনজির হস্তক্ষেপ আয়কর দফতরের। কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন এই এজেন্সি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়কে সম্প্রতি কড়া চিঠি পাঠিয়েছে। আয়কর কর্তাদের দাবি, রাজ্যের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খরচের হিসাবে প্রভূত গরমিল রয়েছে। শাস্তি হিসাবে তাদের ৫০ কোটি টাকা জরিমানা দিতে হবে।
প্রচলিত নিয়মে কোন ব্যক্তি বা লাভজনক সংস্থাকে আয়কর দিতে হয়। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় হোক বা যেকোনও অলাভজনক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কোনওটিই আয়করের আওতায় পড়ে না। পুজোর আগে রাজ্য সরকারের অধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করায় তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে নবান্ন। প্রশাসনের সর্বোচ্চ মহল থেকে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। দ্রুত আদালতে যাওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে।
আরও পড়ুন: Anubrata Mandal: কেষ্টর মেয়ে সুকন্যাকে ফের নোটিস সিবিআইয়ের, অনুব্রতর পরিচারককে জিজ্ঞাসাবাদ
দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়কেই আর্থিক অনুদান দেয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। বর্ধমানের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে নির্দিষ্ট খাতের টাকা অন্য খাতেও খরচ হয়েছে। আর্থিক তছরুপ বা গরমিলের অভিযোগ ওঠেনি। উচ্চশিক্ষা দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এক খাতের টাকা অন্য খাতে খরচ করলে পরে ইউজিসিকে জানাতে হয়। বর্ধমানের একমাত্র ‘অপরাধ’ খরচের সংশোধিত হিসেব নয়াদিল্লিকে পাঠানো হয়নি। এই বিষয়টিকে হাতিয়ার করেই মাঠে নেমেছে আয়কর দফতর।
রাজ্যে এখন বিভিন্ন ইস্যুতে সক্রিয় ইডি এবং সিবিআই। তার মাঝে কেন্দ্রের অন্য একটি এজেন্সি কার্যত নিয়ম ভেঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়কে জরিমানা করায় স্তম্ভিত রাজ্য প্রশাসন। উচ্চশিক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর, প্রথমে ট্রাইব্যুনালে বিচার চাওয়া হবে। সন্তুষ্ট না হলে হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টে মামলা হবে আয়কর দফতরের বিরুদ্ধে।