সিউড়ি: শিয়রে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে দিদির সুরক্ষা কবচ (Didir Surakhya Karmosuchi) কর্মসূচীতে গিয়ে মানুষের নাড়ির স্পন্দন পরীক্ষা করার সুযোগ পাচ্ছেন তৃণমূলের (Tmc) জন প্রতিনিধিরা। রাজ্য সরকার কী কী সুফল মানুষের জন্য নিয়ে এসেছে সেগুলি বোঝাচ্ছেন তাঁরা। কী কী সমস্যায় মানুষ ভুগছেন সেগুলি শুনছেন তাঁরা। তাতেই দেখা যাচ্ছে একের পর এক জায়গায় বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীরা। কোথাও মানুষের অভিযোগে মেজাজ হারিয়ে ফেলছেন দিদির দূতের সঙ্গে যাওয়া কর্মী। বীরভূমে ফের বিক্ষোভের মুখে সাংসদ (MP) শতাব্দী রায় (Satabdi Roy)। দিদির সুরক্ষা কবচ (Didir Surakhya koboch) কর্মসূচিতে ফের বীরভূমে (Birbhum) বিক্ষোভ। দিদির দূত হয়ে কর্মসূচিতে গিয়ে আবারও গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন শতাব্দী ও সিউড়ির তৃণমূল বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী (Bikash RoyChowdhury)।
শুক্রবার সিউড়ি (Suri) দুনম্বর ব্লকে ইটেগড়িয়া গ্রামে দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচিতে যান বিকাশ রায়চৌধুরী (Bikash Roy Chowdhury)। গ্রামবাসীরা রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে পানীয় জলের সমস্যার কথা জানায় তাঁকে। খেলার মাঠ দখল করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন তাঁরা। খুব স্বাভাবিকভাবেই গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের হাত থেকে রক্ষা পেতে দ্রুত সেই এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে যান বিকাশ রায়চৌধুরী।
আরও পড়ুন: TMC Leader Incident: হরিহরপাড়ায় তৃণমূল কর্মী খুনে গ্রেফতার স্ত্রী
এদিকে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে গিয়ে আবারও গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় (Satabdi Roy)। জানুয়ারি মাসে দুবার তিনি বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন। শুক্রবার বীরভূম জেলার খয়রাশোল ব্লকে যান সাংসদ। সেখানকার কৈথি গ্রামে শতাব্দী রায়কে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান এলকাবাসী। তাঁদের দাবি, ওই এলাকায় আলোর সমস্যা রয়েছে। রাস্তা, পানীয় জলের দাবিতে তাঁদের এই বিক্ষোভ প্রদর্শন।
উল্লেখ্য, ওই কর্মসূচীতে গিয়ে এর আগেও একাধিকবার বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন সাংসদ। গাড়ি থামিয়ে গ্রামের মানুষ পানীয় জলের সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন তাঁকে। সেগুলি সমাধানের আশ্বাসও দেন তিনি। এদিনও তাঁর আশ্বাস দেন সুরাহার জন্য সবরকম চেষ্টা করবেন তিনি।
তৃণমূলের জমানায় অনুব্রত মণ্ডল হীন বীরভূমে পঞ্চায়েত ভোট হতে চলেছে এবার। তাঁর জামিনের কথা শোনা যায়নি। অনুব্রতর আমলে বীরভূমে বাঘে-গোরুতে একঘাটে জল খেত বলা হয়। ফলে একের পর এক বিক্ষোভ হওয়ায় তৃণমূলের নেতৃত্বহীনতা কী স্পষ্ট হচ্ছে? ওয়াকিবহাল মহলে সেই প্রশ্ন উঠছে।