বাঁকুড়া: এবার সিপিএম-বিজেপিকে (CPIM-BJP) ঝেঁটিয়ে বিদায় করার নিদান দিলেন বাঁকুড়া পুরসভার চেয়ারপার্সন (Bankura Municipality Chair Person) অলকা সেন মজুমদার। বুধবার বুধবার বাঁকুড়া ১ নং ব্লকের হেলনা শুশুনিয়া ও ভাতুড়ি গ্রামে দিদির সুরক্ষাকবচ (Didir Suraksha Kawach) কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন ওই তৃণমূল নেত্রী। সেখানেই তিনি বলেন, সিপিএম-বিজেপি (CPIM-BJP) কিছু করেনি, যা করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও স্থানীয় তৃনমূল পঞ্চায়েত সদস্য। তাই এই পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি-সিপিএম ভোট চাইতে এলে হাতা, খুন্তি, ঝাঁটা হাতে নিয়ে ঝেঁটিয়ে তাদের বিদায় করে দেবেন। একইসঙ্গে গ্রামের মহিলাদের সিপিএম-বিজেপির (CPIM-BJP) বিরুদ্ধে জোট বাঁধারও আহ্বান জানান।
বিরোধীরা অবশ্য পাল্টা বলে, পঞ্চায়েত ভোটে অশান্তি হলে সব দায় নিতে হবে চেয়ারপার্সনকে (Chair Person)। বিজেপির (BJP) নেতাদের বক্তব্য, এটাই বিজেপির সংস্কৃতি। সিপিএম বলছে, ২০২৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটের পুনরাবৃত্তি চায়। তবে এবার আর ভোট ছিনতাই করা অত সহজ হবে না। গ্রামের মানুষ জাগছে।
আরও পড়ুন:Mamata-Anubrata: কেষ্টর অনুপস্থিতিতে বীরভূম সামলাবেন তিনিই, জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
বাঁকুড়ার (Bankura) বিজেপি নেতারাও অবশ্য কুকথায় কম যান না। সৌমিত্র খানের (Soumitra Khan) মতো সাংসদ থেকে শুরু করে জেলার বিধায়করা গত কয়েকমাস ধরে সমানে প্ররোচনামূলক ভাষণ দিয়ে চলেছেন। তাঁরা কখনও তৃণমূলের হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন, কখনও ঝেঁটিয়ে তৃণমূল তাড়ানোর কথা বলছেন। সব মিলিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণার অনেক আগে থেকেই তেতে উঠছে বাঁকুড়ার লাল মাটির রাজনীতি। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, ভোট যত এগিয়ে আসবে ততই এই কুকথার বন্যা বেশি বইবে।