বাসন্তী: ফের বাসন্তীতে (Basanti) যুব তৃণমূলের সঙ্গে তৃণমূলের কোন্দল (Tmc Innerclash) সামনে এল। বাসন্তীতে ওই যুব তৃণমূল (Tmc) কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠল দলের এক নেতা ও তাঁর অনুগামীর বিরুদ্ধে। আহত তৃণমূল কর্মী বর্তমানে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাঁঠালবেরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের খেরিয়া এলাকার ঘটনা।
অভিযোগ, গত ৯ ফেব্রুয়ারি তৃণমূলের দুই পক্ষের কোন্দলে উত্তর ভাঙনখালি মোল্লাপাড়ায় এক আইসিডিএস সেন্টারে (ICDS) ভাংচুরের অভিযোগ ওঠে। সন্দেহের তির ছিল তৃণমূল নেতা মোজাম্মেল সর্দারের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় আক্রান্ত মিজানুর মোল্লা বাসন্তী থানায় অভিযোগ করেন। রবিবার সন্ধ্যায় মিজানুর যখন সেই ঘটনার কিছু ছবি নিয়ে স্থানীয় ক্যাম্পে যাচ্ছিলেন, সেই সময় মোজাম্মেল সর্দার ও তাঁর অনুগামীরা তাঁকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বাসন্তী থানার পুলিশ। এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি তৃণমূল নেতা মোজাম্মেল সর্দার।
গোসাবা এবং বাসন্তীতে (Basanti) তৃণমূল (Tmc) এবং যুব তৃণমূলের মধ্যে গোলমাল লেগেই রয়েছে গত কয়েকবছর ধরে। সেই গোলমাল ঘিরে গোসাবা, বাসন্তীতে অতীতে খুনোখুনির ঘটনাও ঘটেছে। এয়াজ্য নেতৃত্ব অনেকবার জেলা এবং স্থানীয় নেতৃত্বকে সতর্ক করে দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার প্রকাশ্যে সভাতেই বলেছেন, তৃণমূল এবং যুব তৃণমূলের সবাই দলের সম্পদ। সবাইকে সমান মর্যাদা দিয়ে চলতে হবে। কিন্তু দুই শীর্ষ নেতা-নেত্রীর কথা কাগজে কলমেই থেকে গিয়েছে। তৃণমূল এবং যুব তৃণমূলের মধ্যে অনেক জেলাতেই গোলমাল রয়েছে। তবে গোসাবা, বাসন্তীতে সেই কোন্দল একেবারে তুঙ্গে। গত বিধানসভা ভোটের পরও একাধিকবার সুন্দরবনের এই অঞ্চলে তৃণমূল এবং যুব তৃণমূলের মধ্যে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।