কদম্বগাছি: ফের গোষ্ঠীকোন্দল শাসকদলে। এর জেরে উত্তর ২৪ পরগনার কদম্বগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৪ জন পঞ্চায়েত সদস্য পদত্যাগ করলেন তৃণমূল (TMC) থেকে। সুরক্ষা কবচে পঞ্চায়েতে আসার কথা থাকলেও বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার (Kakoli Ghosh Dastidar) পঞ্চায়েত কার্যালয়ে ঢোকেননি। এরপর ওই পঞ্চায়েতের তৃণমূলের ২৬ সদস্যের মধ্যে ২৪ জন পদত্যাগপত্র তৃণমূলভবনে ও সাংসদকে অনলাইনে পাঠিয়ে দেন বলে জানা গিয়েছে। সেই ঘটনায় রাজনৈতির মহলে চর্চা শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার দিদির সুরক্ষা কবচ (Didir Suraksha Kavach) কর্মসূচিতে কদম্বগাছিতে আসেন বারাসত লোকসভার সাংসদ ড: কাকলি ঘোষদস্তিদার। স্থানীয় একটি কালী মন্দিরে পুজো দিয়ে শীতলা মন্দিরে পৌঁছন সাংসদ। সেই সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন বারাসত এক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আরশাদুজ্জামান। সংসদের গাড়ি থেকে নামার সময় অজ্ঞাত কেউ পাথর ছোড়ে বলে অবিযোগ। জখম হন আরশাদুজ্জামান। এরপর সাংসদ কদম্বগাছি পঞ্চায়েত কার্যালয়ের সংলগ্ন একটি অনুষ্ঠান বাড়িতে বিশ্রাম নেন। সেখানে বৈঠক করেন স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে।
আরও পড়ুন:Manis Sisodia: মন্ত্রী পদে ইস্তফা সিসোদিয়ার, পদত্যাগ সত্যেন্দ্র জৈনেরও
সুচি অনুযায়ী, ৩টের সময় পঞ্চায়েত সংকল্প অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পঞ্চায়েতে আসার কথা ছিল সাংসদের। কিন্তু তিনি পঞ্চায়েত কার্যালয়ের সামনে দিয়ে ফিরে যান। তবে পঞ্চায়েতে ঢোকেননি। এরপরই ঘটনার সূত্রপাত। কার্যালয়ে না ঢোকায় এবং সুরক্ষা কবচ অনুষ্ঠানে পঞ্চায়েত সদস্যদের না ডাকার কারণে পদত্যাগ করেন তাঁরা। সাংবাদিক সম্মেলন করে ক্ষোভ উগড়ে পদত্যাগপত্র দেখান ওই পঞ্চায়েত সদস্যরা।
আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। কিন্তু শাসকদল তৃণমূলের গোষ্টীকোন্দল যেন পিছু ছাড়ছে না। রাজ্যের একাধিক জেলায় প্রতিদিনই দলীয় কোন্দলের অভিযোগ উঠছে। যার জেরে ক্রমশই চাপে পড়ছে তৃণমূল। দলের শীর্ষ স্থানীয় নেতৃত্ব এ বিষয়ে নেতাকর্মীদের সতর্ক করলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। বরং বেড়েই চলেছে ক্ষোভ। এই পরিপ্রেক্ষিতে এদিনের এই ঘটনা দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে ফের বুড়ো আঙুল দেখাল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।