বসিরহাট: চাকরি বাতিলের তালিকায় তৃণমূল (Tmc), বিজেপির (Bjp) পর নয়া সংযোজন সিপিএম (Cpim) ঘনিষ্ঠের নাম। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশের পরই রাজ্য জুড়ে বেরিয়ে আসছে চাকরি হারানো একের পর এক ব্যক্তির নাম। আর তার মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের জনপ্রতিনিধি বা নেতাদের নিকটাত্মীয় বা চেনা পরিচিত অনেকের নাম পাওয়া গিয়েছে। সেইরকমই ভুয়ো নিয়োগে চাকরি পাওয়ার তালিকায় এবার নাম পাওয়া গেল সিপিএম নেতার ছেলের। গ্রুপ সি নিয়োগ (Group C Scam) বাতিলের তালিকায় নাম রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যর ছেলে কৃষ্ণপদ সরকারের। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমত অস্বস্তিতে পড়েছে সিপিএম নেতৃত্ব।
উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের ১১ নম্বর স্যান্ডেলের বিল গ্রামের দাপুটে সিপিএম নেতা চারবারের সিপিএমের নির্বাচিত প্রাক্তন গ্রাম সদস্য রঞ্জিত সরকার। তিনি বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তাঁর ছেলে কৃষ্ণপদ সরকার বসিরহাট ছোট জিরাকপুর সুমন্ত হাই স্কুলে ২০১৮ সালে যোগদান করেন। হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে গ্রুপ সি ৮৪২ জনের চাকরি বাতিল হয়। সেই তালিকায় ৭৩৮ নম্বরে কৃষ্ণপদ-এর নাম রয়েছে।
যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব এই নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। স্যান্ডেলের বিল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জয়নাল গাজি বলেন, নিয়োগ দুর্নীতিতে শুধু তৃণমূলের নাম আছে এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। সময় যত যাবে আরও বেশি করে সামনে আসবে যে বিরোধীরাও লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে অবৈধভাবে চাকরি পেয়েছে। সিপিএমের দাপুটে নেতার ছেলের নাম লিস্টে এসেছে। এইবার বিরোধীরা কী বলবে?
যদিও অভিযোগ উড়িয়ে কৃষ্ণপদ সরকার বলেন, “হাইকোর্ট এক তরফা রায় দিয়েছে। আমাদের না জানিয়ে নম্বর ওনারা আপলোড করলেন কেন ওয়েবসাইটে? প্রথমে আপলোড করল আমরা প্রত্যেকে পাশ। এখন বলেছে বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছি। সবটা এসএসসি বলতে পারবে। আর কোর্ট আমাদের কথা শুনছে না। আমি টাকা দিয়ে চাকরি পাইনি। আমি উপযুক্ত নম্বর ও নথিপত্র দিয়ে চাকরি পেয়েছি। সঠিক তদন্ত করা হোক।”
এদিকে, তৃণমূলের অভিযোগ, কৃষ্ণপদ-র পুরো পরিবারটাই সিপিএম। বারবার দুর্নীতিগ্রস্ত বলা হচ্ছে তৃণমূলকে। এবার একে একে নাম বেরিয়ে পড়ছে। বিজেপি-সিপিএম চাকরি তালিকায় রয়েছে তাও আরেকবার প্রমাণ হল শুধু তৃণমূল-বিজেপি নয় এবার চাকরি হারানোর তালিকায় সিপিএম নেতার ছেলেও।
, বিজেপির (Bjp) পর নয়া সংযোজন সিপিএম (Cpim) ঘনিষ্ঠের নাম। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশের পরই রাজ্য জুড়ে বেরিয়ে আসছে চাকরি হারানো একের পর এক ব্যক্তির নাম।){kind=link}